
মিয়ানমারের একটি চিড়িয়াখানায় ফুটফুটে তিনটি বাঘের বাচ্চার জন্ম হয়েছিল। কিন্তু এর কদিন পরই মা বাঘটি তার এক শাবককে মেরে ফেলে। এরপর চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ বাকি শাবক দুটিকে সেখান থেকে সরিয়ে সদ্য মা হওয়া এক নারীর কাছে লালন পালনের দায়িত্ব দেন। এরপর থেকে ওই নারীর বুকের দুধ খেয়েই বেড়ে উঠছে বাঘের বাচ্চা দুটি।
চিড়িয়াখানার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যতদিন বাঘ শাবক দুটির দাঁত না উঠছে ততদিন ওই নারী বুকের দুধ খাওয়াবেন। এরপর দাঁত উঠে গেলে বাচ্চা দুটি মাংস খাওয়া শিখে ফেলেতে পারবে।
বাঘ শাবক দুটির লালন-পালনা করা ওই নারী বলেন, বাঘের বাচ্চাগুলোকে দুধ খাওয়ানোর মতো অস্বাভাবিক প্রস্তাব পেয়ে আমি প্রথমে বেশ ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। কারণ এমন কোনো অভিজ্ঞতা এর আগে আমার ছিল না। তবে আমাকে চিড়িখানার কর্মচারিরা বেশ সাহস জুগিয়েছেন।
বাঘের বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, প্রথম যেদিন এই দুই শাবককে দুধ খাইয়েছি, সেদিন মনে হয়েছিল, আমি যেনো আমার সন্তানকেই খাওয়াচ্ছি। এখন শাবকগুলোকে নিজের সন্তানের চোখেই দেখি। তবে আফসোসের বিষয় হলো- কয়েকদিন পর তাদের দাঁত উঠলে এই সুযোগ হারাবো।
অনেকে এ ধরনের ঘটনা শুনে অবাক হলেও এটিই প্রথম নয়। এর আগেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন প্রাণীর বাচ্চাকে মানুষের দুধ পান করার ঘটনা ঘটেছে।
No comments:
Post a Comment