শনি দশা কাটছে না বিজেপির বারাসত সাংগঠনিক জেলায়। বিজেপির বারাসত জেলা পার্টির অফিসের পাশে গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের জেরে মারধরের ঘটনা ঘটেছে । অভিযোগ বুধবার সন্ধ্যায় বারাসত হরিতলা গোবিন্দ বারাক রোডের ওপর মধ্যমগ্রামের প্রাক্তন মন্ডল সভাপতি রাজকুমার পালকে গণধোলাই দেয় বিজেপির সাংগঠনিক বারাসত জেলা সভাপতি শংকর চ্যাটার্জী র লবির লোকেরা ।
জেলা সাংগঠনিক সভাপতিকে নিয়ে কাজিয়া এখানে বেশ পুরানো। দলীয় কোন্দলের জেরে প্রাক্তন জেলা সভাপতি প্রদীপ ব্যানার্জির মুখ পুড়েছিল অকথ্য ভাষায় পোষ্টার ও বিক্ষোভের জেরে। সেই কাজিয়া মেটাতে লোকসভা ভোটের পর জেলা সভাপতি বদলানো হয়। তবে বিজেপির বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর আভ্যন্তরীণ কোন্দল বদল হয়নি, বরং হিংসা বেড়েছে। আর এর প্রভাব পড়েছে সাধারণ বাসিন্দাদের মধ্যে। নাগরিকরা প্রশ্ন তুলে বলছেন, এই বিজেপি তো বাম তৃণমূলের থেকেও খারাপ। বাসিন্দা অনিশ সরকার বলেন, ফেসবুক থেকে টেলিভিশনে যা দেখছি, তাতে মনে হচ্ছে জনগনের কথা নয়, নিজের ক্ষমতা বৃদ্ধি নিয়েই বেশি ব্যস্ত। এই রাজনীতি গনতন্ত্রের জন্য ভয়ঙ্কর।
এদিন বিকেলে বারাসত জেলা পার্টি অফিসে জেলা সভাপতি শংকর চ্যাটার্জী সাংগঠনিক বৈঠকে বসে। পার্টি অফিসের বাইরে তখন শতাধিক বিজেপির এক লবির ছেলেরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। অপর লবির কর্মীদের ঢুকতে না দেওয়ায় তারা দূরে থাকে। এদিন সন্ধ্যায় মধ্যমগ্রামের প্রাক্তন মন্ডল সভাপতি রাজকুমার কে হরিতলা মোড়ে পেতেই ঝাঁপিয়ে পড়ে গনপিটুনি দেয় শংকর চ্যাটার্জির লোকেরা।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ সে নভেম্বর বারাসাত সাংগঠনিক জেলার মন্ডল সভাপতির নাম ঘোষণার দিন ছিল, সেদিনই ৩৭ টি মন্ডল সভাপতির নাম ঘোষণা করা হয়। সেসময় নতুন সভাপতি হিসাবে নিযুক্ত হন ১৮ জন।তখন থেকেই বিভিন্ন মন্ডল থেকে পুরোনো কিছু সভাপতি বাদ পড়েন। অভিযোগ, তখন বাদ পড়ার পর থেকেই দল বিরোধী কাজ করতে থাকেন এরা। এর মধ্যে মধ্যমগ্রাম পূর্ব মন্ডল সভাপতি রাজ কুমার পাল ছিলেন। আজ নব নিযুক্ত মন্ডল সভাপতিদের নিয়ে বারাসতে জেলা পার্টি অফিসে সভার আয়োজন করে বারাসাত সাংগঠনিক জেলা সভাপতি। সে সময় রাজ কুমার পাল পার্টি অফিসের সামনে আসলে, জেলা সভাপতি শঙ্কর চ্যাটার্জীর অনুগামীরা তার উপর হামলা চালায়, প্রকাশ্য রাস্তায় চলে মারধর। বারাসত থানার পুলিশ এসে রাজ কুমার পালকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এই ঘটনায় শঙ্কর চ্যাটার্জী জানান, এবিষয়ে তার জানা নেই, তিনি মিটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন। তবে দোষীদের বিরুদ্ধে দল ব্যবস্থা নেবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
No comments:
Post a Comment