প্রতীকী ছবি
বউয়ের গায়ের রং কালো। এ নিয়ে বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীকে যা তা বলে গালিগালাজ করতেন এক পাষণ্ড যুবক। কিন্তু শনিবার রাতে তিনি স্ত্রীর ওপর অমানবিক নির্যাতন চালান। তাকে বাঁশ দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেন। এ ঘটনায় রবিবার স্থানীয় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৫ বছর আগে জোয়ারিয়ার বাসিন্দা শেখ কামারুজ্জামানের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল গাংধুলোট এলাকার মেয়ে নাজিরার। ওই দম্পতির দুই ছেলে, এক মেয়ে।
পরিবারিক সূত্রে জানা যায়, আগে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ক মোটামুটি ছিল। কিন্তু গত দু’বছর ধরে নাজিরার উপর কামারুজ্জামানের নির্যাতন বেড়ে গেছে। প্রায়ই মাতাল অবস্থায় বাড়ি ফিরে স্ত্রীকে মারধর করেন তিনি। স্ত্রীর গায়ের রং নিয়েও যা তা বলতে ছাড়েন না। এমনকি ঠিকমতো তাকে খেতেও দিতে চান না।
শনিবার রাতে বাড়ি ফিরেই নাজিরার ওপর চড়াও হন কামারুজ্জামান। দুই ছেলেকে একটি ঘরে আটকে রেখে বাঁশ দিয়ে বেধড়ক পেটাতে থাকেন স্ত্রীকে। সঙ্গে চলে কিল-ঘুসি আর লাথি। বাঁশের আঘাতে নাজিরার মাথা ফেটে যায়। এ অবস্থায় তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়।
আহত নাজিরাকে ওই রাতেই বারাসত জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রবিবার হাসপাতাল থেকে তিনি গাংধুলোটে বাবার বাড়িতে চলে আসেন।
এ দিনের ঘটনা সম্পর্কে নাজিরার ছেলে শেখ আশিকুল জানায়, ‘পারিবারিক অশান্তির কারণে পড়াশোনা ছাড়তে বাধ্য হয়েছি। ওই দিন বাবা আমাদের তালাবন্ধ করে রাখেন। চিৎকার করেও বাবাকে থামাতে পারিনি।’
আর নাজিরা বলেন, ‘অনেক দিন ধরে ওর অনেক অত্যাচার মুখ বুঁজে সহ্য করেছি। কিন্তু শনিবার রাতে স্বামী মেরে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। আমি তার শাস্তি চাই।’
এ ঘটনায় রবিবার সকালে দেগঙ্গা থানায় স্বামীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নাজিরা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। আসামি কামারুজ্জামানকে আটক করারও চেষ্টা চলছে।
এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে দেগঙ্গা থানার জোয়ারিয়া এলাকায়।
সূত্র: বিডি জার্নাল

No comments:
Post a Comment