নিজস্ব সংবাদদাতাঃ কোচবিহারের মেখলিগঞ্জের চ্যাংড়াবান্ধার ডোরাডাবরিতে সুটুঙ্গা নদীর পাড়ে প্রায় এক বিঘা জমিতে অবৈধভাবে গাঁজা চাষ হচ্ছিল। রবিবার গোপন সুত্রে খবর পেয়ে মেখলিগঞ্জ থানার পুলিশ ও আবগারি দপ্তর যৌথ ভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছে সমস্ত গাঁজার গাছ কেটে দেয় ও আগুনে পুড়িয়ে ফেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে বাইরে থেকে বেশ কিছু দুষ্কৃতি নদীর পাড়ের পরিত্যক্ত জমিতে ডেরা বেঁধে গাঁজা চাষ করে আসছিল। শুধু নদীর পাড়েই নয়, এদিন পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পাশ্ববর্তী এলাকায় আরও দুটি বাড়িতে গাঁজা চাষের সন্ধান পায়। সেখানেও পুলিশ ও আবগারি দপ্তরের আধিকারিক ও কর্মীরা গিয়ে গাঁজার গাছ কেটে জ্বালিয়ে দেয়।
জানা গেছে, বাইরে থেকে আসা লোকজনের খপ্পরে পড়েই স্থানীয় রতন রায় ও রমেন রায় গাঁজা চাষ শুরু করে। যদিও পুলিশের আঁচ পেয়ে আগেই আশ্রম ও বাড়ির লোকজন পালিয়ে যায়। পুলিশ আশ্রম ও বাড়ির মালিকের খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে। তবে প্রশ্ন উঠছে, এতদিন ধরে বাইরে থেকে দুষ্কৃতিরা এসে গাঁজা চাষ করলেও স্থানীয় পুলিশ এতদিন পরে কেন খোঁজ পেলেন? আর স্থানীয় প্রশাসন কি ভাবে এড়িয়ে গেলেন? নাকি তাদের মদতেই চলছে রমরমিয়ে গাঁজা চাষ? যদিও এ নিয়ে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন কিছু মন্তব্য করতে নারাজ। মেখলিগঞ্জ থানার এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, "আমরা কোথাও গাঁজা চাষে প্রশ্রয় দেই না। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সমস্ত গাঁজার গাছ কেটে জ্বালিয়ে দেই।"
No comments:
Post a Comment