ধর্ষিতা না হয়েও চরম নিরাপত্তাহীনতা ও লাঞ্ছনার কবলে পড়েছেন আরেক প্রিয়াঙ্কা - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Monday, 2 December 2019

ধর্ষিতা না হয়েও চরম নিরাপত্তাহীনতা ও লাঞ্ছনার কবলে পড়েছেন আরেক প্রিয়াঙ্কা





প্রিয়াঙ্কা রেড্ডি অবশ্যই  নিরাপত্তাহীনতার চরম সংজ্ঞা । কিন্তু ধর্ষিতা না হয়েও লাঞ্ছনা ও নিরাপত্তাহীনতা গ্রাস করে আছে বহু প্রিয়াঙ্কা রেড্ডিকে । এমনই একটি বাঙালী প্রিয়াঙ্কার  নাম মৌসুমী দাস ।  মেধাবী ছাত্রী হওয়া সত্ত্বেও পারিবারিক বিবাদের জেরে  তাঁর ভবিষ্যৎ প্রশ্নচিহ্নের মুখে । বাবা , মা সহ সে নিজে  শারীরিক ভাবে নিগৃহীত।বাগুইহাটির হাতিয়াড়ার বাসিন্দা  ব্যচেলার্স ডিগ্রির কমার্স বিভাগের ছাত্রী  মৌসুমী দাস (১৯) নিরাপত্তার অভাবে তো ভুগছেনই , নিজের নিকট জনের কাছ থেকেই পাওয়া আঘাতজনিত  ভীতি তাঁকে কুরে কুরে খাচ্ছে। তাঁর চেয়েও বড় কথা - উচ্চমাধ্যমিকে কৃতী ছাত্রীর ক্যারিয়ার অনিশ্চয়তার টানাপোড়েনে।

বাবা ভোলানাথ দাস (৪৯), মা মঞ্জু দাস (৩৬) কে নিয়ে ইকো পার্ক থানার পূলিশের দ্বারস্থ হয়ে মৌসুমীর  জুটেছে অশেষ  অবহেলা । তাই বারাসত আদালতের শরণাপণ্ণ ওই ছাত্রী ও তার পরিবার ।  শীতলাতলা বড় বাগান  এলাকার নিম্নবিত্ত পরিবারের মেয়ে মৌসুমীর বাবা বেসরকারি একটি স্কুলের স্কুলবাস চালক। তাঁর  মা গৃহবধূ, যিনি এই বিবাদে সবচেয়ে বেশি মাত্রার শারীরিক নিগ্রহের শিকার। সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের মাশুল কিন্তু মনে প্রাণে আরও যেন বেশি ভাবে গুনতে হচ্ছে ঊনিশ বছরের তরুণীকে। বুধবার থেকে শুরু হতে চলা পরীক্ষা হয়তো দেওয়া হবে না তার ।

পারিবারিক বিবাদে মৌসুমী দাসের দাদু বাবলু চন্দ্র দাস ও পরিবারের অন্য সদস্যরা  মারধোর করেছে বলে মৌসুমীর পরিবারের অভিযোগ। বিবাদ, বাড়ির একটি অংশ উঁচু করা নিয়ে। এরপরে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয় তাঁদের ।

মেয়েটির এখন একটাই দাবি দুদিন পর তার বিকম পরীক্ষা, তাকে পরীক্ষা দিতে দেওয়া হোক। বারবার করে বলা সত্বেও তার  অ্যাডমিট কার্ড বাড়ি থেকে বার করতে দিচ্ছে না আত্মীয় স্বজনরা । মৌসুমী দাসের অভিযোগ , গতকাল রাতে ইকো থানায় গেলেও তাদের সেখান থেকে বার করে দেওয়া হয় । এমনকি গত দুদিন রাস্তায় বসে মৌসুমীকে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে হয়েছে। নিরাপদ সে নয়, সে জানে। তথাপি এখন  তার  একটাই দাবী , আশাও একটি -যদি সে এডমিট কার্ড পেয়ে যায়, তবে সে পরীক্ষাটা অন্তত দিতে পারে ।ভবিষ্যৎ সুরক্ষা কি পাবে সে ? হণ্যে হয়ে  বাগুইহাটি বা ইকো পার্ক থানা থেকে বারাসত আদালত অব্দি আইন ও প্রশাসনের দরজায় দরজায়  মাথা ঠুকরে মরছে মৌসুমী নামী আরেক প্রিয়াঙ্কা। প্রতি মুহুর্তে দহন হয়ে চলেছে মেধাবী  মৌসুমীর ।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad