যোগীর বদলা নেওয়ার রীতির পরিপ্রেক্ষিতে কামান দাগলেন রাজীব কন্যা

নতুন নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে অশান্ত উত্তরপ্রদেশকে শান্ত করতে পুলিশি ‘তৎপরতার’ যে চিত্র ফুটে উঠেছে, সেই প্রেক্ষিতেই উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে সোমবার আক্রমণ শানালেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। রাজীব-কন্যার বক্তব্য, এই প্রথম কোনও মুখ্যমন্ত্রী নাগরিকদের উপরে ‘বদলা’ নেওয়ার কথা বললেন। ওঁর অভিপ্রায় সুনিশ্চিত করার ব্যবস্থা করছে রাজ্যের পুলিশ।

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) লক্ষ্ণৌতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি ওই মন্তব্য করেন।

সম্প্রতি সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ‘সিএএ’ এবং জাতীয় নাগরিকপঞ্জি ‘এনআরসি’র বিরোধিতায় বিজেপিশাসিত উত্তরপ্রদেশে বিক্ষোভ চরম আকার ধারণ করলে সরকারি সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি হয়। এ প্রসঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করায় যাঁরা জড়িত, তাঁদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে নিলামে চড়িয়ে ক্ষতিপূরণ করা হবে। আমাদের কাছে সব ঘটনার ভিডিও এবং সিসিটিভি ফুটেজ রয়েছে। আমরা ‘বদলা’ নেব।’ তাঁর ওই মন্তব্য প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী তীব্র সমালোচনায় সোচ্চার হয়েছেন।

‘সিএএ’ এবং ‘এনআরসি’ ইস্যুতে বিক্ষোভকারীদের উপরে পুলিশি অত্যাচারের বিচারবিভাগীয় তদন্ত চেয়ে আজ উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেলকে চিঠি দিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। তাঁর অভিযোগ, ‘আন্দোলনকারীদের মুখ বন্ধ করতে ইচ্ছাকৃতভাবে রাজ্য জুড়ে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে ‘বৈষম্য এবং দমনমূলক আচরণ’ করা হয়েছে।’

প্রিয়াঙ্কা গান্ধী মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে কটাক্ষ করে এদিন আরও বলেন, ‘ভারত ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এবং রামের দেশ। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের সময়েও একবারের জন্যও অর্জুনকে ‘বদলা’ নেওয়ার কথা বলেননি কৃষ্ণ। হিন্দু ধর্মে বদলার কোনও জায়গা নেই। এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ‘গেরুয়া বস্ত্র’ পরেন। কিন্তু এই গেরুয়া আপনার নয়। এর সঙ্গে দেশবাসীর ধর্মীয় আস্থা জড়িয়ে আছে। তাতে বদলা, হিংসা এবং শত্রুতার কোনও স্থান নেই। সেজন্য শুধু ‘গেরুয়া’ পরলেই হয় না, সেই ধর্ম কী করে পালন করতে হয়, তা-ও শিখতে হয়।’‘সিএএ’ এবং ‘এনআরসি’ ইস্যুতে বিক্ষোভকারীদের উপরে পুলিশি দমনপীড়নে বিভিন্নমহল থেকে নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। সাধারণ জনগণের ওপরে উত্তরপ্রদেশ ও দিল্লি পুলিশের অত্যাচার হিটলারি বর্বরতাকে হার মানিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন, রাজ্য জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সভাপতি মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী।






সূত্র: দি বাংলাদেশ টুডে