একাকীত্বের যন্ত্রনায় ভুগছে গাছ, উদ্বিগ্ন বিজ্ঞানীরা - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Tuesday, 31 December 2019

একাকীত্বের যন্ত্রনায় ভুগছে গাছ, উদ্বিগ্ন বিজ্ঞানীরা

original



মানুষের মনে নানা মুহূর্তে একাকীত্ব গ্রাস করে। সবার মধ্যে থেকেও কেমন যেন একা একা লাগে। কিন্তু শুধুই কি মানুষ? ভাবতে অবাক লাগে সুদূর নিউজিল্যান্ডের জঙ্গলে সম্পূর্ণ একা হয়ে আছে একটি বিশেষ প্রজাতির গাছ। গাছেরও তো প্রাণ আছে।

একাকিত্বের বোঝা বয়ে নিয়ে চলেছে গাছটি, যা নিয়ে চিন্তিত বিজ্ঞানীরাও।

গাছটি 'Pennantia Corymbosa' প্রজাতির।

স্থানীয় মাওরি উপজাতির ভাষায় ‘কাইকোমাকো’।   শুধু মাওরি উপজাতির নয়, নিউজিল্যান্ডের জীব-প্রজাতির অন্যতম হেরিটেজ এই উদ্ভিদ। এই প্রজাতির একটি মাত্র গাছ এখন টিকে রয়েছে পৃথিবীতে। তাই সে বড় একা। দূর-দূরান্তে আত্মীয় বন্ধুবান্ধব কিছুই নেই।

এরকম পরিস্থিতি বেশ কয়েক বছর আগে থেকে শুরু হয়েছে। সেখানকার পরিবেশবিদদের চিন্তা, সঙ্গী না থাকলে বংশবিস্তার হবে কিভাবে?

এমন পরিস্থিতি হল কিভাবে? বিজ্ঞানীদের মতে, যে অঞ্চলে এই গাছ সাধারণত জন্মায়, সেটা মূলতঃ গবাদি পশুর চারণ ভূমি। তাই গরু, ভেড়া বা ছাগলে এই গাছ প্রচুর পরিমাণে খেয়ে ফেলেছে। এছাড়া প্রকৃতির খামখেয়ালিপনা তো আছেই। তার ওপর এই গাছটি পৃথিবীর একটি বিরল প্রজাতির গাছ। তাই সে একা।

পরিবেশবিদ বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জ্ঞানেন্দ্র নারায়ণ সেনগুপ্ত  জানিয়েছেন যে, এই গাছটি আদতে একটি মেডিসিনাল প্ল্যান্ট। প্রকৃতিতে দূষণের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় এই গাছটির অস্তিত্ব ধীরে ধীরে মুছে যাচ্ছে ৷ বিভিন্ন চর্ম রোগের ওষুধ পাওয়া যায় এই গাছের পাতার নির্যাস থেকে। তাই এই গাছ বিলুপ্তপ্রায় হওয়ায় মানবজাতির জন্য তা যথেষ্ট সংকটজনক।

তবে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানীদের মতে, খুব শিগগিরই এই প্রজাতির আরও উদ্ভিদ জোগাড় করতে পারবেন। গবেষণাও চলছে, বিজ্ঞানীদের যাতে তারা একটি নার্সারিতে কৃত্রিমভাবে এই উদ্ভিদ উৎপাদন করতে পারেন। তাদের এখন একমাত্র লক্ষ্য, গাছটির একাকীত্ব দূর করা।




সূত্র: বিডি প্রতিদিন

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad