উপকারী ভেষজ বচ, মেধা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Friday, 6 December 2019

উপকারী ভেষজ বচ, মেধা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে





বচ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভেষজ উদ্ভিদ। উত্তরের শীতের দেশগুলোতে এই গাছ প্রাকৃতিকভাবেই জন্মে। ভারতের কাশ্মীর, হিমাচল, নাগা পাহাড়, বাংলাদেশের সিলেটসহ শ্রীলংকার ২০০০ মিটার উচ্চতায়ও বচ এখন প্রাকৃতিকভাবে জন্মে।

আয়ুর্বেদ চিকিৎসকদের মতে, বচ দু'প্রকার- শ্বেত বচ এবং মহাবরী বচ। আমরা বলছি, শ্বেত বচের কথা। এর আরও কয়েকটি নামও আছে। বচা, উগ্রগন্ধা, ষড়গ্রন্থা, শতপর্বিকা, ক্ষুদ্রপত্রী, জটিলা, লোমশা ইত্যাদি। সেই প্রাচীনকাল থেকেই বচের নানামুখী ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। সুশ্রুত সংহিতায় বিভিন্ন স্থানে বচ ব্যবহারের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

কুটী প্রাবেশিক নিয়মে ব্রাহ্মীঘৃতের সঙ্গে আমলকী পরিমাণমতো বচপিণ্ড খেয়ে গরুর দুধ, ঘিসহ খাবার খেলে মেধাশক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি শতায়ু হওয়ার কথাও বলা হয়েছে। চরক সংহিতায় বচকে লেখনীয়, অর্শোঘ্ন, আস্থাপনযোগ্য এবং সংজ্ঞাস্থাপনযোগ্য, শিরোরোগ নিবারণযোগ্য, অতিসার, মৃগীরোগে উপকারী হিসেবে বহুল উল্লিখিত।

চক্রদত্তে বলা হয়েছে, উন্মাদরোগে বচের রস বা চূর্ণ এবং কুড়চূর্ণ মধুসহ খেলে উপকার হয়। দুগ্ধান্ন সেবনপূর্বক মধুসহ বচ খেলে মৃগীরোগে আরোগ্য হয়। হার্নিয়া রোগে বচ ও সরিষার প্রলেপ দিলে বৃদ্ধি প্রশমিত হয়। বাংলাদেশ আয়ুর্বেদিক ফর্মুলারি ১৯৯২তে ৬৫টি ওষুধে বচ ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে।

এর মধ্যে অন্যতম হলো পেটফাঁপা, স্মৃতিশক্তি, স্বরভঙ্গ, মৃগী, উন্মাদ, বাতরোগ, অনিদ্রা, কৃশতা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

বচ মোথাকন্দবিশিষ্ট বিরুৎ শ্রেণির গাছ। পাতা ঘাস বা তরবারির মতো, লম্বা, সরু, ২০ থেকে ২৪ সেন্টিমিটার উঁচু, মাথার দিকে ক্রমশ সরু। পুষ্পদণ্ড ৬ থেকে ৮ সেন্টিমিটার লম্বা। বর্ষার শুরুতে ফুল ও শেষে ফল হয়।



সূত্র: সমকাল

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad