গলার ভিতরে অনেক সময় খুব ব্যথা করে। ঢোক গিলতে গেলেও খুব কষ্ট হয়। এই ব্যথা সাধারণত টনসিল ইনফেকশনের কারণে হয়ে থাকে। টনসিলের সমস্যা সাধারণত যে কোনও বয়সেই হতে পারে।
জিভের পিছনে গলার দেওয়ালের দু’পাশে গোলাকার পিণ্ডের মতো যে জিনিসটি দেখা যায়, সেটাই হল টনসিল। এটি দেখতে মাংসপিণ্ডের মতো মনে হলেও এটি মূলতঃ এক ধরণের টিস্যু বা কোষ। এই টনসিল মুখ, গলা, নাক কিংবা সাইনাস হয়ে রোগজীবাণু অন্ত্রে বা পেটে ঢুকতে বাধা দিয়ে থাকে।
শীতে টনসিল সমস্যা সাধারণত বেড়ে যায়। আর ঠান্ডাজনিত কারণে যতগুলো সমস্যা সৃষ্টি হয়, টনসিল সংক্রমণ তার মধ্যে অন্যতম। এই সমস্যা যে কোন বয়সে, যে কোন সময়ে হতে পারে। এই ধরনের সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। তবে প্রাথমিক অবস্থায় অনেক অসুখই ঘরোয়া উপায়ে সমাধান সম্ভব। সমস্যা জানান দেওয়ার পর থেকেই যত্ন নিলে ঘরোয়া কিছু উপায়েও সারিয়ে তুলতে পারেন অসুখ। জেনে নিন কিভাবে ওষুধ ছাড়াই টনসিলের সমস্যা দূর করবেন-
লবণ-জল
গরম জলে লবণ মিশিয়ে ভেপার নিন। এই সময় চাদর দিয়ে নিজেকে মুড়ে ফেলুন। কান-মাথা যেন অবশ্যই জড়ানো তাকে। ফ্যানের হাওয়া থেকেও দূরে থাকতে হবে। গলা ব্যথা, টলসিলের অসুখ থেকে অনেকটা আরাম দেয় এই লবণ-জলের ভেপার।
দুধে হলুদ
খুশখুশে কাশি থেকে টনসিলের সংক্রমণের সঙ্গে লড়াই-ফোটানো দুধে এক চিমটে হলুদ মিশিয়ে খাওয়া এর অন্যতম ওষুধ! হলুদের অ্যান্টিইনফ্লামেটরি উপাদান সংক্রমণ দূর করে। এছাড়া হলুদে প্রাকৃতিকভাবেই অ্যান্টিসেপটিক উপাদান থাকে। তাই হলুদের প্রভাবে গলার প্রদাহও দূর হয় অনেকটাই।
গ্রিন টি-মধু
তিন কাপ জলে এক চা চামচ গ্রিন টি এবং এক চামচ মধু দিয়ে মিনিট পাঁচেক ফুটিয়ে নিন। এই চা একটা ফ্লাস্কে রেখে দিন। উষ্ণ থাকাকালীন অল্প অল্প করে বার বার খান। গ্রিন টি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট; তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি এটি শরীরের জীবাণুর সঙ্গে লড়াইও করে। মধুর অ্যান্টিব্যাকটিরিয়াল উপাদান প্রদাহ কমায় টনসিলের।
সূত্র: দি বাংলাদেশ টুডে
No comments:
Post a Comment