শরীর বিষ মুক্ত রাখতে সাহায্য করবে খিচুড়ি - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Tuesday, 3 December 2019

শরীর বিষ মুক্ত রাখতে সাহায্য করবে খিচুড়ি





বিভিন্নভাবে শরীরে টক্সিক এলিমেন্ট বা বিষ জমছে। আর সেই বিষ বের করে শরীর সুস্থ রাখতে আপনাকে সাহায্য করবে এক থালা খিচুড়ি। অবাক হচ্ছেন! অবাক হওয়ার কিছু নেই বরং সাবধান হওয়া জরুরি।

বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীরের নিজস্ব একটা মেকানিজম আছে, যার মাধ্যমে দেহ তার অন্দরে জমতে থাকা টক্সিনদের বের করে দেয়। এক্ষেত্রে কিডনি বেশিরভাগ কাজটাই করে থাকে। আর বাকিটা ঘাম এবং নিঃশ্বাসের মাধ্যমে শরীরের বাইরে বেরিয়ে যায়।

তারপরও কিছু পরিমাণ বিষ শরীরে থেকেই যায়, যা ধীরে ধীরে শরীরকে ভেতর থেকে নষ্ট করে দিতে শুরু করে।

ঘরোয়া ওষুধ খিচুড়ি, যা শরীরকে সম্পূর্ণভাবে বিষমুক্ত করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এটি শরীরের অন্দরে টক্সিন উপাদানের পরিমাণ কমিয়ে ফেলে এবং নিরবে কাজ করে।

সাবুদানা খিচুড়ি
এ খিচুড়ি অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি প্রপাটিজে পরিপূর্ণ। এটি হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি শরীরকে টক্সিকমুক্ত করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। শুধু তাই নয়, সাবুদানা খিচুড়িতে কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন সি এবং ক্যালসিয়ামসহ একাধিক খনিজ রয়েছে। ফলে এটি খেলে শরীরে পুষ্টির অভাব হওয়ার কোনও আশঙ্কাই থাকে না।

ওটস খিচুড়ি
শরীরকে ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করতে চাইলে মাঝে মধ্যে ওটস খিচুড়ি খেতেই হবে। এতে উপস্থিত ফাইবার, প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেট দেহে উপস্থিত টক্সিক উপাদানদের বের করে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে, আরও নানাভাবে শরীরের উপকারে লাগে।

সবজি খিচুড়ি
সবজি খিচুড়ি আপনি প্রতিদিনই খেতে পারেন। কারণ এতে প্রচুর মাত্রায় ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং বেশ কিছু খনিজ রয়েছে। এটি হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি, একাধিক রোগের প্রকোপ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

কাওন খিচুড়ি
প্লোটিন, ফাইবার, ফসফরাস এবং অ্যামাইনো অ্যাসিডে পরিপূর্ণ এ খিচুড়িটি বাস্তবিকই শরীর বান্ধব। প্রোটিন এবং ফাইবার একদিকে যেমন শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে, তেমনই অ্যামাইনো অ্যাসিড এবং ফসফরাস কোষেদের কর্মক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি শরীরে জমে থাকা টক্সিক উপাদান যাতে ঠিক মতো বেরিয়ে যেতে পারে, সেদিকেও খেয়াল রাখে।

মুগ ডালের খিচুড়ি
যারা ওজন কমাতে চান, তারা প্রায় প্রতিদিনই ব্রেকফাস্টে এ খাবারটি খেতে পারেন। আসলে পেট বেশিক্ষণ ভরা থাকলে অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার ইচ্ছা চলে যায়। ফলে শরীরে প্রয়োজন অতিরিক্ত ক্যালরি প্রবেশ করতে পারে না। আর এতে শরীর অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কাও থাকে না।


সূত্র: বিডিএইচ

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad