প্রাচীন মিশরীয়দের গর্ভ পরীক্ষার ধরন জানলে চমকে যাবেন - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Monday, 2 December 2019

প্রাচীন মিশরীয়দের গর্ভ পরীক্ষার ধরন জানলে চমকে যাবেন





সে সময় আল্ট্রাসোনোগ্রাফি ছিল না। ছিল না আধুনিক চিকিৎসাবিদ্যা। কিন্তু প্রাচীন মিশরীয়রা এক অদ্ভূত কায়দায় বুঝতো কোন নারী অন্তঃসত্ত্বা কিনা। এমনকী‚ তারা জানতে পারতো গর্ভস্থ ভ্রূণের লিঙ্গও! সেই পন্থার কথা লেখা আছে এক প্যাপিরাসে। খননকার্যে উদ্ধার হয়েছে সেই প্যাপিরাস। যদি কোনও নারীর মনে হতো‚ বা অন্য কারও সন্দেহ হতো, সেই নারী গর্ভবতী, প্রাচীন মিশরে তাকে বলা হত দুটি পাত্রে মূত্রত্যাগ করতে। একটিতে ভরা থাকত বার্লির দানা। অন্যটিতে গমের দানা। নির্দিষ্ট দিন অন্তর মূত্রত্যাগ করতে হতো।

এরপর নজর রাখা হত পাত্র দুটির দিকে। যদি একটি পাত্রের বীজ থেকেও অঙ্কুরোদ্গম হয়‚ তাহলে ওই নারী অতি অবশ্যই অন্তঃসত্ত্বা। কিন্তু সেই শিশু ছেলে হবে‚ না মেয়ে? যদি বার্লির বীজ থেকে চারা বের হত‚ তাহলে মনে করা হত, আসছে কন্যাসন্তান। আর যদি গমের দানা অঙ্কুরিত হত‚ তাহলে ধরেই নেওয়া হত‚ পুত্রসন্তান জন্মাবে। আশ্চর্যজনক ভাবে‚ এই পরীক্ষা নাকি ৫০% থেকে ৭০% ক্ষেত্রে মিলে যেত। অর্থাৎ বোঝা যেত ওই নারী গর্ভবতী কিনা এবং বেশিরভাগ সময়েই চারা বের হলে একটি পাত্র থেকেই বের হত।

মিশরীয় সভ্যতার আরও অনেক রহস্যের মতো এটির ব্যাখ্যাও অধরা থেকে গেছে আধুনিক বিশ্বের কাছে। তবে কোন কোন গবেষকদের ধারনা‚ গর্ভবতী নারীদের দেহে ইস্ট্রোজেনের আধিক্যর জন্য অঙ্কুরোদ্গম হত। কিন্তু কেন বার্লি-চারা হলেই মেয়ে‚ আর গম-চারা হলেই ছেলে‚ এর কোন গ্রহণযোগ্য ব্যাখা না পাওয়ায় বিজ্ঞানীরা গ্রহণ করেননি।


সূত্র: বিডিইএন

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad