শিশুর হাতে বই তুলে দিয়ে তার সুষ্ঠু বিকাশে সহায়তা করুন - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Tuesday, 3 December 2019

শিশুর হাতে বই তুলে দিয়ে তার সুষ্ঠু বিকাশে সহায়তা করুন




আজকাল মোবাইল কিংবা ট্যাব হাতেই বেড়ে ওঠে বেশিরভাগ শহুরে শিশু। এই গ্যাজেট আসক্তির কারণে একজন শিশুর সামাজিক দক্ষতা তৈরি হয় না। এই পরিস্থিতির সবটার দায় কি কেবল শিশুদেরই? তা কিন্তু নয়। অভিভাবকরাই বরং অনেকাংশে দায়ী এর জন্য। ভিডিও গেম, কার্টুন কিংবা ইউটিউবের বিভিন্ন ভিডিও দেখানো ছাড়া শিশুদের খাওয়ানো যায় না, এই বাহানায় তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় গ্যাজেট। শিশুরা কাঁদলেও ঝটপট গ্যাজেট ধরিয়ে দেওয়া হয় কান্না থামানোর জন্য। সত্যি কথা বলতে, যুগের হাওয়া পুরোটা বদলে ফেলা সম্ভব নয়। গ্যাজেট, কার্টুন, ভিডিও গেম থাকবেই। কিন্তু পাশাপাশি সন্তানের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলাও কিন্তু অপরিহার্য। শিশুদের মধ্যে কল্পনাশক্তি বাড়াতে এবং মনের বিকাশ ঘটাতে বইয়ের বিকল্প নেই। সন্তানকে এই নতুন জগতের খোঁজ দিতে বাবা-মায়ের ভূমিকা অনেকটাই।


ছোটবেলাতেই সন্তানকে বিভিন্ন বইয়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিন। সন্তান যখন একটুআধটু কথা বলতে শিখবে বা নতুন জিনিস চিনতে শুরু করবে, তখন ওর জন্য ফুল, ফল বা জীবজন্তুর ছবি দেওয়া বই কিনে দিন।

শিশু যেন বইয়ের ছবির সঙ্গে বাস্তবের মিল খুঁজে পায় সেদিকে খেয়াল রাখুন। যেমন আপেল খাওয়ানোর সময় ওর হাতে একটা গোটা আপেল দিন এবং বইয়ে আপেলের ছবি দেখান। শিশুকে বাইরে নিয়ে গেলে পাখি বা ফুল চিনিয়ে দিন। বাড়িতে এসে সেগুলোর ছবি দেখান।

শিশু যে কার্টুন দেখতে ভালোবাসে, সেই ধরনের বই কিনে দিন। রূপকথার গল্প যেমন স্নো হোয়াইট, জঙ্গল বুক, সিনড্রেলা, রাপুনজেল এগুলো যেমন কার্টুন মুভি রয়েছে, তেমনি গল্পগুলোর সুন্দর রঙিন বই পাওয়া যায়।

শিশুকে ঠিক-ভুল বিচার করা কিংবা দায়িত্ববোধ গড়ে তুলতে গল্পের উদাহরণ টেনে আনুন। ঈশপের গল্প শোনাতে পারেন।

শিশুরা প্রচুর প্রশ্ন করে। যেকোনও বিষয়ে ওদের অসীম কৌতূহল, সবকিছু ওরা জানতে চায়। হাজারও প্রশ্ন সামলাতে হিমশিম খান বাবা-মায়েরা। কিন্তু বাচ্চাদের প্রশ্নে বিরক্ত হলে বা ক্লান্ত হলে চলবে না। রেগে গিয়ে ধমক দিলে কিন্তু ছোটরা জানার আগ্রহটাই হারিয়ে ফেলবে। তাই প্রশ্ন করতে দিন। বোঝার চেষ্টা করুন কোন ধরনের বিষয়ে ওর আগ্রহ বেশি। সেই অনুযায়ী ওকে নানা ধরনের বই কিনে দিন।

বিশেষ উপলক্ষ্যে শিশুকে উপহার হিসেবে বই দিন। মাঝেমধ্যে সন্তানকে নিয়ে বড় কোনও বুকস্টোরে যান। সন্তাকেই নিজের ইচ্ছেমতো বই বেছে নিতে দিন। নিজে স্বাধীনভাবে বই বেছে কিনলে ওর পড়ার আগ্রহটাও বাড়বে।

প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে শিশুকে বই পড়ে শোনান আপনি নিজেই। ছোট গল্প, ছড়া- এগুলো সুন্দর উচ্চারণে পড়ুন। 

সন্তানের বইয়ের র‌্যাকে পড়ার বইয়ের পাশাপাশি গল্পের বইও সাজিয়ে রাখুন। পড়ার ফাঁকে রিল্যাক্স করতে চাইলে কমিকস বা মজার বই পড়তে পারে। এতে বারবার মোবাইল চেক করা, গেমস খেলার প্রবণতাও কমবে।


সূত্র: বিটি

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad