আজ প্রায় বেশি সংখ্যক নারীরাই বাইরে কাজ করে থাকেন। সমস্যা হয় যখন দুজনের সংসারে সাহায্য করার জন্য কোন তৃতীয় জন থাকে না। সেক্ষেত্রে নারীদের উপর চাপ পরে যায় অনেকটাই।
তাই যেসব জুঁটি ঘর এবং বাহির একসাথে সামলাতে গিয়ে অনেকটাই হিমশিম খেয়ে যাচ্ছেন, তারা মেনে চলুন কিছু নিয়মিত রুটিন—
কাজের প্ল্যানিং করুন: যে কোনও কাজ করতে গেলেই প্রথমে প্রয়োজন প্ল্যানিং’য়ের। আর সেটা যদি আপনার সংসার এবং অফিস হয় তাহলে তো কোন কথাই নেই। এই ক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমেই কোন কাজের পরে কোনটা করবেন তার একটা প্ল্যানিং করে ফেলতে হবে আগে থেকেই। যদি আপনার মনে না থাকে, তাহলে প্রয়োজনে আপনি খাতায় লিখে রাখতে পারেন।
প্রতিটি কাজের জন্য সময় নির্দিষ্ট করুন: প্রতিটি কাজের জন্য নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করে নিলে কাজ সহজ হয়। এতে অফিস এবং ঘরের কাজ দুটোই ঠিক মতো করা যায়। কাজের সময় নির্ধারণসহ অফিসের মিটিং থেকে শুরু করে বাড়ীর আসবাবপত্র মোছার মতো ছোটছোট কাজের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
কাজ ফেলে রাখবেন না: অনেক সময়ই দেখা যায় রাতে অফিস থেকে বাড়ী ফেরার পর শরীর বেশ ক্লান্ত হয়ে পরে। খাওয়া শেষ করে জিনিসপত্র সব এলোমেলো ভাবে ফেলে রেখেই ঘুমাতে চলে যান। এতেই বাঁধে বিপত্তি। কেননা সকালে উঠেই আবার লেগে যায় দৌঁড়ঝাঁপ। রাতে ফেলে রাখা কাজ শেষ করতে করতে সকালটাও মাটি হয়ে যায়। অফিস পৌঁছাতে দেরী। তার সাথে যুক্ত হয় বসের ঝাড়িটিও। তাই কাজ ফেলে না রেখে যখনকার কাজ তখনই করা উচিৎ।
কাজ ভাগ করে নিন: ঘরের কাজগুলো সব নিজের মাথায় ফেলে না রেখে ভাগ করে নিন। যদি ঘরের কাজগুলো আপনি করেন, তাহলে সংসারের প্রয়োজনীয় বাইরের কাজগুলো আপনার স্বামীকে করতে বলুন। প্রয়োজনে খাবার টেবিল মোছার মতো হালকা কাজগুলো আপনার বাচ্চাদের দায়িত্ব দিয়ে দেন। এতে কাজের ঝক্কিটাও খানিকটা কমে। পাশাপাশি আপনার বাচ্চারাও আত্মর্নিভরশীল হয়ে উঠবে।
কিছু কাজ ছুটির দিনে করুন: কিছু কিছু কাজ আপনি ছুটির দিনে করে রাখতে পারেন। এতে অন্যান্য দিনগুলোতে আপনার কাজের চাপ কিছুটা হলেও কম পড়বে। ঘরের ঝুলঝাড়া অথবা কিছু তরকারি রান্না বা সেদ্ধ করে রাখতে পারেন। এতে করে অন্য দিনগুলোতে কিছুটা হলেও সুবিধা হবে।
নিজেদের মধ্যে ভালো বোঝাপোড়া থাকা দরকার: কোন ঝামেলাই আসলে ঝামেলা নয়, যদি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভালো বোঝাপোড়া থাকে। অফিস এবং ঘর এই দুটি একসাথে ম্যানেজ করার জন্য আসলে সবার আগে প্রয়োজন এই বোঝাপোড়াটাই। নিজেদের মধ্যে ভালো সমঝোতা থাকলে সহজেই সামলে নেওয়া যায় ঘর-বাইরের কাজগুলো।
নিজেদের জন্য সময় রাখুন: বিয়ের পরে আপনাদের দায়িত্বের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় দুইগুনে। সাথে যুক্ত হয় নিজেদের সংসার এবং অফিসের কাজ। এতো ঝামেলায় নিজেরা ভুলেই যায় নিজেদের সময় দেওয়ার কথা। আর তখনই মূল বিরোধটা শুরু হয়। তাই প্রথমেই দিনের কিছু সময় শুধু নিজেদের জন্য রাখুন।
(সংগৃহীত)
No comments:
Post a Comment