পুরনো প্রেমিকাকে ফিরে পেতে চাইছেন! দেখে নিন কিছু টিপস্ - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Monday, 2 December 2019

পুরনো প্রেমিকাকে ফিরে পেতে চাইছেন! দেখে নিন কিছু টিপস্





হারিয়ে যাওয়া প্রেম কি ফিরে পাওয়া যায়? দার্শনিক ভাবে দেখলে যায় না। আপনার পুরনো প্রেমিকা ফিরে আসতেই পারেন, তাতে পুরনো প্রেম ফিরে আসে না। দর্শনের কচকচি থাক। বাংলা কথা, পুরনো প্রেমিকা ফিরলেই যথেষ্ট। তাকে ফেরানোর কোনও টোটকা রয়েছে কি? বিস্তর ঘাঁটাঘাঁটি করে এখানে কিছু টিপস দেওয়ার চেষ্টা করা হল। ট্রাই করে দেখতে পারেন। তবে একটা কথা। এই সব টিপস রাতারাতি ম্যাজিক দেখাতে পারবে না। কবি বিনয় মজুমদারের সেই অমোঘ পংক্তি মনে রাখবেন— ‘‘কিছুটা সময় দিলে দুধে সর ভেসে ওঠে।’’

এখানে কয়েকটি পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করা হল। আপনি কোন পরিস্থিতিতে রয়েছেন, সেটাই বিচার করুন। বাকি পরিস্থিতি নিয়ে আপাতত মাথা ঘামাবেন না।

পরিস্থিতি ১: ব্রেক আপের ঠিক পরেই
কয়েক দিন বা কয়েক সপ্তাহ কেটেছে বিচ্ছেদের পরে। বড় জোর কয়েক মাস। ক্ষত এখনও তাজা। এমতাবস্থায় প্রেমিকাকে একথা জানানো যাবে না, যে আপনি বিরহকাতর। বরং এই পরিস্থিতিতে ঠান্ডা মাথায় বোঝার চেষ্টা করুন, কেন সে আপনাকে ছেড়ে গেল। বিচ্ছেদের ঠিক আগের মুহূর্তে সে কী বলেছিল, মনে করার চেষ্টা করুন। বিচ্ছেদের ঠিক আগে কি কোনও ইঙ্গিত ছিল তার তরফ থেকে? দু’এক সপ্তাহ এই বিষয়টা নিয়ে ভাবুন। হঠকারীর মতো আচরণ করবেন না। ঠান্ডা হন।

প্রথমে তাকে ভোলার চেষ্টা করুন। জানি, এটা শক্ত কাজ। তবু চেষ্টায় থাকুন। পারেন তো তার ফোন নম্বর সবার আগে আপনার ফোন থেকে ডিলিট করুন। দু’এক সপ্তাহ পরে ফেসবুকে মেসেজ করে দেখতে পারেন। প্রেমের কথা বলবেন না। বরং একটু উদাসীন বন্ধুত্বের সুর বজায় রাখুন তাতে। নির্মল রসিকতাও চলতে পারে।

এর পরে একদিন তার সঙ্গে দেখা করতে পারেন। লাঞ্চ অথবা কফি চলতে পারে। তবে দূরত্ব বজায় রাখুন। হ্যাংলাপনা করবেন না। শরীরী ভাবে ঘনিষ্ঠ হতে চাইবেন না।

ঘন ঘন দেখা করতে চাইবেন না। কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক মাসের গ্যাপ নিন। দেখা হলে হালকা কথোপকথনে আটকে থাকুন। বিচ্ছেদের প্রসঙ্গ একেবারেই তুলবেন না। আপনি যে ভালই আছেন, সেটা আপনার হাবে ভাবে বোঝান।

বেশ কয়েক বার দেখা-সাক্ষাতের পরে কোনও নাইট-আউটের নেমন্তন্ন করতে পারেন। যদি সেখেনে চিঁড়ে ভেজে, তা হলে এগোতে পারেন। শরীরী ঘনিষ্ঠতা বুঝে সুঝে করবেন।

পরিস্থিতি ২: যখন জানতে পারলেন, তার একটি বয়ফ্রেন্ড রয়েছে
এটা সত্যিই খুব ঘোটালা পরিস্থিতি। কিন্তু এতে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। খানিক উদাস হয়ে যান। উদাসীনতা কিন্তু একটা ভাল ওযুধ। জিম-টিম করে একটা আকর্ষণীয় চেহারা গড়ে তুলুন। এতেই দু’তিন মাস কেটে যাবে।

এর মধ্যেই ফেসবুকে নিজের প্রোফইলে নিজেকে এমন ভাবে প্রেজেন্ট করুন, যা আপনি আগে ছিলেন না। এই ‘বদল’-টাকে ছড়াতে থাকুন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সে যদি নজর করে, তাকে ১ নং পরিস্থিতিতে নিয়ে আসুন। ‘লেটস গেট ইন টাচ’ লিখে শুরু করতে পারেন মেসেজ বক্সে।

পরিস্থিতি ৩: বছর খানেক কেটে গিয়েছে যখন
আপনি জানেন না, কোন পরিস্থিতি অন্য দিকে। বয়ফ্রেন্ড জোগাড় হয়েছে কিনা, তা-ও জানেন না। উপরের দুই পরিস্থিতি মিলিয়ে একটা ট্রাই নিন। কুল থাকুন। খেলা ঘুরবেই।

পরিস্থিতি ৪: যখন সে আপনার দিকে ফিরেও তাকাচ্ছে না
এমন ক্ষেত্রেও মাথা ঠান্ডা রাখুন। তাকে বার্তা পাঠান। এটা কিন্তু এমন ক্ষেত্রে খুব জরুরি। হাতে লেখা চিঠি কিন্তু বেশি কাজ দেবে এমন ক্ষেত্রে। বোঝান, আপনি তার ইচ্ছেগুলোকে কতটা সম্মান করেন। জানান, সে নতুন কাউকে খুঁজে পেলে আপনি খুশি হবেন। কয়েক সপ্তাহ চুপ করে থাকুন। পরে আবার সরব হোন। তার পরে কফি খেতে ডাকুন। দেখুন না কী হয়।

বিচ্ছেদের পরে পুনর্মিলন চাইলে ধৈর্য ধরতেই হবে। ধৈর্যই এই রোগের সেরা দাওয়াই। সময় দিন। সময় সব ক্ষতই সারিয়ে তোলে।

সূত্র: বিডিইএন

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad