দুর্নীতির অভিযোগে ৬ মাসের জন্য বীরভূমের জেলা সভাধিপতিকে সাসপেন্ড করল তৃণমূল। দলীয় কাজে অংশ না নেওয়ার নির্দেশ। এমনটাই খবর তৃণমূল সূত্রে। যদিও ৬ মাসের ছুটি চেয়ে ডিভিশনাল কমিশনার ও জেলাশাসককে চিঠি দিয়েছেন জেলা সভাধিপতি।
৬ মাসের ছুটি চেয়ে চিঠি দিয়েছেন। কিন্তু আসলে না কি ছুটি নয়। তৃণমূল সূত্রে খবর, দুর্নীতির অভিযোগে ৬ মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে বীরভূমের জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরীকে। শুধু তাই নয়, ৬ মাস দলের কোনও কাজেও অংশ নিতে বারণ করা হয়েছে তাঁকে। ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূল সূত্রে সামনে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিকাশ রায়চৌধুরীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ দীর্ঘদিনের। রবিবার জেলা তৃণমূল কার্যালয়ে একটি বৈঠক হয়। সেখানেই বিকাশকে ৬ মাসের জন্য সভাধিপতির পদ থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই মতো ওইদিন রাতেই ছুটির আবেদন জানিয়ে চিঠি দেন বিকাশ। তিনি জানিয়েছেন, অসুস্থতার কারণেই ৬ মাসের ছুটির আবেদন জানিয়ে ডিভিশনাল কমিশনারকে চিঠি দিয়েছেন তিনি। প্রতিলিপি পাঠিয়েছেন জেলাশাসককে। প্রাপ্তি স্বীকার করে জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা জানিয়েছে, ছুটি চেয়ে চিঠি দিয়েছেন জেলা সভাধিপতি। যদিও এবিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি অনুব্রত মণ্ডল। গত ২৩ নভেম্বর, বীরভূমের মল্লারপুরে অনুব্রত মণ্ডলের সামনে দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। ময়ূরেশ্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জটিলেশ্বর মণ্ডলের বিরুদ্ধে, বিজেপির হয়ে ভোট করানোর অভিযোগ তোলে দলের একাংশ। পাল্টা বিরোধিতা করেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির অনুগামীরা। বচসা থামাতে দু-পক্ষকেই আবেদন করেন অনুব্রত।
এভাবে দলের গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে আসার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই জটিলেশ্বর মণ্ডলকে ৬ মাসের জন্য সাসপেন্ড করে দল। তৃণমূল সূত্রে খবর, এবার একইরকম শাস্তি দেওয়া হল জেলা সভাধিপতিকে।
বীরভূমের পরবর্তী জেলা সভাধিপতির দায়িত্বভার নিচ্ছেন, বর্তমান সহকারি সভাধিপতি নন্দেশ্বর মণ্ডল।
source https://www.rarebreaking.com/2019/12/birbhum-zila-sabhadipati-suspend-by-tmc.html
No comments:
Post a Comment