দিন দিন বাড়ছে সমর্থন, দাবি বীরভূম এমআইএম নেতৃত্বের। গ্রামে গ্রামে উড়ছে পতাকা, সম্প্রতি সিউড়িতে হয়েছে এমআইএমের কর্মিসভাও। লালমাটিতে কারা জায়গা করে দিল আসাদউদ্দিনের দলকে? তা নিয়ে শুরু তৃণমূল-বিজেপির তরজা।
শুধু এক-আধজন সমর্থক নয়। বীরভূমের নানা অংশে এখন মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে আসাদউদ্দিন ওয়েসির দল এমআইএম। বোলপুর থেকে নানুর, লাভপুর থেকে সিউড়ি। জেলার একের পর এক গ্রামে এভাবেই উড়ছে একদা হায়দরাবাদ ভিত্তিক হলেও, এখন বিহার এবং মহারাষ্ট্রেও জমি তৈরি করা, এমআইএম-এর পতাকা। আর এই ছবি দেখেই চিন্তার ভাঁজ পড়েছে রাজ্যের শাসকদলের কপালে। একদিন আগেই বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের বৈঠকে উঠে এসেছিল এমআইএম-এর প্রসঙ্গ। সোমবার নবান্নে স্বরাষ্ট্র দফতরের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে নাম না করে অল ইন্ডিয়া মজলিশ-এ-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন নিয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। কোচবিহার ও মুর্শিদাবাদের প্রকাশ্য সভা থেকেও নাম না করে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে এমআইএম সূত্রে দাবি, বীরভূমের বিভিন্ন গ্রামে তাদের সদস্য সমর্থকের সংখ্যা বাড়ছে। সম্প্রতি সিউড়িতে কর্মিসভাও করেছে আসাদউদ্দিন ওয়েইসির দল। এই পরিস্থিতিতে প্রায় ৩৭% সংখ্যালঘু অধ্যুষিত বীরভূমে অল ইন্ডিয়া মজলিশ-এ-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন বা এমআইএম-এর বাড়বাড়ন্তে কি সিঁদুরে মেঘ দেখছে তৃণমূল? তৃণমূলের দাবি, এমআইএম-এর নেপথ্যে রয়েছে বিজেপি। জেলা তৃণমূল নেতা ত্রিদিব ভট্রাচার্যের দাবি, বিজেপি তৃনমূলের ভোট নষ্ট করার জন্য ওদেরকে আনছে। সেই চেষ্টা সফল হবে না। অন্যদিকে বিজেপির জেলা সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের পাল্টা দাবি, বীরভূমের বিভিন্ন জায়গায় মিমের পতাকা উড়ছে। এই বার্তা শোভনীয় নয়। মিমের প্রধানের বক্তব্য সাম্প্রদায়িকতার বীজ বপন করবে। ভয়ঙ্কর একটা দল। একটা সময় মুসলিম ভাইরা তৃণমূলের জন্য প্রাণ দিয়েছিল। কিন্তু তৃণমূল তাদের সন্তুষ্ট করতে পারেনি। বছর ঘুরলেই বীরভূমের ৬টি পুরসভার মধ্যে ৫টিতেই ভোট। তারপর ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচন। মূলত হায়দরাবাদভিত্তিক দল হলেও, বঙ্গের ভোটে এমআইএম কোনও ভূমিকা নেয় কি না, সেদিকেই নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের।
source https://www.rarebreaking.com/2019/12/aimim-increase-in-west-bengal.html
No comments:
Post a Comment