কুমারগঞ্জ, ১৩ নভেম্বরঃ বর্ষাকালে গ্রামে ঢুকতে চায় না কোন অ্যাম্বুলেন্স। বর্ষাকালে অসুস্থ রােগীর বাঁচা - মরা নির্ভর করে ভগবানের উপরই । এলাকার একমাত্র রাস্তাটি পাকা করার দাবি নিয়ে নেতা মন্ত্রী থেকে প্রশাসনের কাছে একাধিকবার দরবার করেছেন গ্রামবাসীরা। তবে আশ্বাস ছাড়া কিছুই মেলেনি । এখনও মাটির রাস্তায় পড়েনি পিচের প্রলেপ । স্বাধীনতার পর থেকে এমন দুর্দশার মধ্যেই যােগাযােগের একমাত্র রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করছেন কুমারগঞ্জ ব্লকের জাকিরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সর্দারহাট এলাকার কয়েকশাে পরিবার । ফের একবার মাটির রাস্তাটি পাকা করার আবেদন জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের কাছে । যদিও পুরাে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন কুমারগঞ্জ ব্লক প্রশাসন।
জানা গেছে , কুমারগঞ্জ ব্লকের জাকিরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সর্দারহাট থেকে ইনতুল্যাপুর উৎরইল হয়ে হরিপুর পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলােমিটার রাস্তাটি মাটির । এই রাস্তায় প্রায় ৩০ টি গ্রাম রয়েছে । এই রাস্তায় ৪ প্রাথমিক ও ১ হাইস্কুল এবং একটা হাই মাদ্রাসা স্কুল রয়েছে। রয়েছে, একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র । কুমারগঞ্জ সহ বালুরঘাটের সঙ্গে যােগাযােগের একমাত্র রাস্তাটি মাটির । অভিযােগ , স্বাধীনতার পর থেকেই রাস্তাটি মাটির রয়েছে। সেভাবে কোনদিন এক কোদাল মাটি পরেনি রাস্তায়। এমনি সময় কোন রকমে যাতায়াত করা গেলও গ্রামবাসীদের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে পড়ে বর্ষাকাল এলে। অল্প বৃষ্টিতেই হাঁটু সমান কাঁদা জমে যায় রাস্তায় । ওই সময় রাস্তা দিয়ে ঢুকতে চায় না অ্যাম্বুলেন্স সহ অন্যান্য গাড়ি । ফলে ভগবান ভরসা বাড়িতেই কোনরকমে চিকিৎসা করতে হয় অসুস্থ রােগীর । বেহাল রাস্তার উপর দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে মাঝে মধ্যেই ঘটে ছােট বড় দুর্ঘটনা । যােগাযােগের একমাত্র রাস্তাটি পাকা করার দাবি দীর্ঘদিনের। স্থানীয় নেতা মন্ত্রী থেকে জেলা প্রশাসন সকলের কাছে বারংবার রাস্তা নিয়ে দরবার করলেও হয়নি কোন কাজ। ভােটের সময় নেতা - মন্ত্রীদের আশ্বাস ছাড়া কোন কিছুই মেলেনি । বর্ষা শেষ হয়ে যাওয়ার পর রাস্তায় গর্ত থাকায় কিছুদিন আগে গ্রামবাসীরই তা সংস্কার করেন । সামনেই ফের একবার বিধানসভা নির্বাচন,
তার আগেই মাটির রাস্তাটি পাকা করার দাবি জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা ।
এবিষয়ে স্থানীয় গ্রামবাসী জুলিয়াস হাসান চৌধুরী ও রায়হান মণ্ডল জানান, এই রাস্তার উপর দিয়ে প্রতিদিন গড়ে কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করে। সর্দারহাট থেকে হরিপুর পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলােমিটার রাস্তাটি স্বাধীনতার পর থেকে কাঁচা রয়েছে । পাকা রাস্তার জন্য প্রশাসন থেকে নেতা - মন্ত্রীদের কাছেও বারংবার দরবার করেছেন, তবে আশ্বাস ছাড়া কোন কিছুই মেলেনি । বর্ষাকালে অসুস্থ রােগী বা প্রসূতিদের ভগবান ভরসায় থাকতে হয় ।
এবিষয়ে কুমারগঞ্জ ব্লকের বিধায়ক তােরাফ হােসেন তােরাফ হােসেন মণ্ডল জানান , রাস্তারটির বিষয়ে তিনি জানেন । এবারই রাস্তাটি পাকা হয়ে যাবে। পাকা রাস্তার প্রপােজাল পাস হয়ে গেছে । দ্রুত রাস্তার কাজ শুরু হবে।।

No comments:
Post a Comment