হায়দরাবাদে ধর্ষণের পর পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় ধর্ষিতাকেই দুষছেন তেলঙ্গানার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ঘটনার সময় তরুণী কেন পুলিশকে ফোন করেননি- এমন অভিযোগ করেন স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার হায়দরাবাদের শাদনগরে তরুণী চিকিৎসকের পোড়া দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ বলেছে, ধর্ষণের পর ওই তরুণীকে খুন করে তারপর পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় শুক্রবার তেলেঙ্গানার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহম্মদ মাহমুদ আলি সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, একজন শিক্ষিত তরুণী হয়েও পুলিশের ১০০ (জরুরি সেবা) নম্বরে ফোন করার বদলে নিজের বোনকে ফোন করেন তিনি। ১০০ তে ফোন করলে হয়ত বাঁচানো যেত তাকে। বিপদে পড়লে ১০০ নম্বরেই ফোন করে সাহায্য চাওয়া উচিৎ। সবার এটা জানা দরকার।’
তিনি বলেন, তেলঙ্গানা পুলিশ যথেষ্ট দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছে। অপরাধীদের শনাক্ত করে কড়া শাস্তি দেওয়া হবে।
হায়দরাবাদের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ইতিমধ্যেই দুই ট্রাক চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
পুলিশ মারফত জানা গিয়েছে, রাত ৮টার কিছু সময় পর নিজের ক্লিনিক থেকে স্কুটিতে করে বাড়ি ফিরছিলেন ওই চিকিৎসক। তখন আচমকা তাঁর গাড়ির চাকা পাংচার হয়ে যায়। এরপর চিকিৎসক তাঁর বোনকে ফোন করলে বোন তাঁকে স্কুটিটি সামনের টোল প্লাজায় রেখে ক্যাব বুক করে বাড়ি ফিরতে বলেন। কিন্তু তা করার আগেই দু'জন ব্যক্তি তাঁর কাছে আসেন, যাঁরা গাড়ি মেরামত করে দেওয়ার প্রস্তাব দেন।
তরুণী এই প্রস্তাবে রাজি হয়ে যায় এবং গাড়ি ঠিক হয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে থাকেন। হঠাৎই কয়েকজন তাঁকে ৫০ মিটার দুরে একটি ঝোপের কাছে টেনে নিয়ে যায়। পুলিশের অনুমান সেখানেই ওই মহিলাকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়। এরপর মৃতদেহটিকে কয়েক কিলোমিটার দূরে একটি নির্মীয়মান সেতুর কাছে নিয়ে গিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় অপরাধীরা। ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ১০০ মিটার দুরে মহিলার অন্তর্বাস পাওয়া গিয়েছে, যার ফলে পুলিশের অনুমান ওই মহিলার ধর্ষণ করা হয়েছে।
সূত্র: বিডি প্রতিদিন
No comments:
Post a Comment