হবু বরের সাথে আবেগঘন মুহুর্ত ক্যামেরাবন্দী করতে গিয়ে যুবতীর মৃত্যু

স্মার্ট ফোন এসে যাওয়ায় আমাদের জীবন আগের তুলনায় যেন অনেক বেশি রঙিন হয়ে উঠেছে। যখনই সুযোগ পাই, মুঠোফোনটি নিয়ে ক্লিক ক্লিক! এই জিনিসটি চলে আসায় আমরা যেন বেশি করে নিজেদের প্রেমে পড়ে গিয়েছি। এক বেলা সেলফি না তুললে পুরো দিনটি বৃথা! আর এই সেলফির মোহে পড়ে কত মানুষ অকালে প্রান হারাচ্ছেন। আবারও এই সেলফির বলি হলেন এক যুবতী। ঠিক কি ঘটেছিল, জেনে নেব-


বিয়ের দিন তারিখ ঠিক। হবু বরের সঙ্গে আংটি বদল হয়েছে। এমন খুশিতে আত্মহারা হয়ে হবু বরের সঙ্গে সেলফি তুলতে গিয়ে কুঁয়ায় পড়ে যান দুজনই। ঘটনাটি ঘটেছে চেন্নাইয়ের পাট্টাবিরামের গান্ধীনগরে।
 
পুলিশ সূত্রে খবর, হবু বর অল্পের জন্য বেঁচে গেলেও মৃত্যু হয়েছে যুবতীর।

পুলিশ জানিয়েছে, যুবতীটির নাম টি মার্সি স্টেফি এবং তার হবু বরের নাম ডি আপ্পু। আগামী বছর জানুয়ারিতেই বিয়ে হওয়ার কথা ছিল তাদের।

রবিবার নিজের বাইক নিয়ে হবু স্ত্রী মার্সির বাড়িতে তাকে আনতে গিয়েছিলেন ডি আপ্পু। তারপরে বেশ কিছুক্ষণ মোটরসাইকেলে দুজনে মিলে ঘুরছিলেন। দুপুর ৩টা নাগাদ ভান্দালুরে একটি বাগানবাড়িতে ঢোকেন তারা। সেখানে হুট করেই মার্সির নজরে আসে একটি কুঁয়া। কুঁয়া দেখে আবেগ ‍নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে সেখানেই সেলফি তোলার জন্য হবু বরকে অনুরোধ করেন মার্সি। মোটরসাইকেল থামিয়ে ডি আপ্পু সেলফি তুলতে এগিয়ে এলেই ঘটে এই বিপত্তি।

পুলিশ জানায়, প্রথমে মার্সিই পড়ে যান ওই কুঁয়ার ভেতর। আর তাকে বাঁচাতে আপ্পুও লাফ দেন। সেখানে নামতেই সাহায্যের জন্য চিৎকার করতে শুরু করেন আপ্পু এবং মার্সি দুজনেই। তাদের চিৎকারের আওয়াজ শুনে এক কৃষকও ঘটনাস্থলে এসে ঝাঁপ দেন কুঁয়ায়। কিন্তু তিনি শত চেষ্টা করেও বাঁচাতে পারেননি মার্সিকে।

উদ্ধারকারী দল এসে তিনজনকেই উদ্ধারা করেন। হাসপাতালে নিয়ে যেতে যেতেই মৃত্যু হয় মার্সির। আর তার হবু বর আপ্পু হাসপাতালে মৃত্যুর মুখোমুখি।