নারী এবং পুরুষ উভয়ের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় গড়ে ওঠে পরিবার। এই 'সম্মিলিত' শব্দের মধ্যেই নিহিত রয়েছে নারী-পুরুষের পারস্পরিক অবদান এবং অধিকারের সূক্ষ্ম বিষয়। প্রত্যেকটা সম্পর্কই তার নিজের মতো করে আলাদা। অপরিণত স্বভাব অনেক সময় সুন্দর প্রেমের সম্পর্ক নষ্ট করে দেয়। পরিণতমনস্ক নারীরা তাই নিজেদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু বিষয় মেনে চলেন।
১) ‘শুধু দু’জনে’ এই আইডিয়াটা কিন্তু বেশিদিন বেঁচে থাকে না। সবাইকে নিয়েই বাঁচতে হয়। পরিবার, বন্ধুরাও কিন্তু একইভাবে জীবনের ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বুদ্ধিমতীরা কখনও এই সত্যিটা ভুলে যান না। নিজেদের পাশাপাশি তারা দুটি পরিবারকেও আপন করে নেন।
২) অনেক ছোট ছোট অভিব্যক্তি সম্পর্ককে আরও সুন্দর করে তোলে। বুদ্ধিমতীরা আপাত সামান্য বিষয়েও সঙ্গীকে উত্সাহ দিতে ভোলেন না। তারা ধন্যবাদ বলতেও পিছপা হন না।
৩) স্বামী বা সঙ্গীর চাকরি বা বেতন যাই হোক না কেন, বুদ্ধিমতীরা কখনও আর্থিক স্বাধীনতাকে ছেড়ে আসেন না। এই সমাজ ব্যবস্থায় একজন মেয়ের সার্বিক স্বাধীনতা অনেকটাই তার আর্থিক স্বাধীনতার ওপর নির্ভর করে।
৪) নিজের সব ইচ্ছে আর স্বপ্নকে জলাঞ্জলি দিয়ে কোন ভালো সম্পর্ক তৈরি হতে পারে না। পরিণত নারীরা কখন সম্পর্কের গোলকধাঁধায় নিজেকে ভুলে যান না। তারা জানেন, নিজে ভাল না থাকলে, খুশি রাখা যায় না অন্যদেরও।
৫) বুদ্ধিমতীরা নিজেদের ভাবনাকে সেরা ভাবেন না। সঙ্গীর মতামত মন দিয়ে শুনে সেটাকে বোঝার চেষ্টা করেন। প্রয়োজনে যুক্তি দিয়ে নিজের মত প্রতিষ্ঠা করেন। সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে পারস্পরিক বোঝাপড়া-মতবিনিময়কেই গুরুত্ব দেন তারা।
৬) বুদ্ধিমতীরা পরিস্থিতি সামাল দিতে পারেন। মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতাও তাদের আছে। তবে কোন অবস্থাতেই নিজেদের আত্মসম্মান বিসর্জন দেন না তারা।
৭) ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিজ পরিসরে যত্ন করে রাখতে পারেন বুদ্ধিমতীরা। নিজেদের ভাল লাগা, খারাপ লাগাগুলো সবসময় ঢাক পিটিয়ে সবার কাছে জাহির করেন না।
৮) বুদ্ধিমতীরা স্বাধীনচেতা হন। নিজের স্বাধীনতাকে যেমন বিশ্বাস করেন, সম্মান করেন অন্যের স্বাধীনতাকেও। পার্টনারের সব কিছুতে নাক গলান না। তাদের নিজের মত করে থাকতে দেন।
৯) বুদ্ধিমতী নারীরা সারাক্ষণ প্রেমিক বা স্বামীর ভুল ধরতে ব্যস্ত থাকেন না। তারা জানেন কেউ পারফেক্ট হয় না। অন্যদের কাছে বিরাট কোন এক্সপেকটেশনও থাকে না তাদের। তাই ভুলগুলো পাত্তা না দিয়ে দিব্যি চলতে পারেন।
সঙ্গীর কোনও আচরণে রাগ হতেই পারে, কিন্তু সেটা পুষে রাখা কাজের কথা নয়! দরকারে ঝগড়া করুন। মনের ভিতরের ক্ষোভ বেরিয়ে গেলে সম্পর্ক ফের ঝলমলে হয়ে উঠবে। ভালোবাসা মানে পরস্পরের প্রতি নির্ভরতা আর বিশ্বস্ততা ধরে রাখা। সঙ্গীর ইচ্ছাগুলোকে সম্মান করুন, তার পাশে থাকুন। সম্পর্ক আজীবন মজবুত থাকবে।
(সংগৃহীত)
No comments:
Post a Comment