সকাল বেলা খালি পেটে ডিম খাওয়ার আছে বিশেষ উপকারিতা

একাধিক গবেষণায় একথা প্রমাণিত হয়ে গেছে যে সকাল উঠেই যদি একটা করে ডিম খাওয়া যায়, তাহলে শরীরের নানা উপকারে লাগে। সেই সঙ্গে যে যে মারণ রোগগুলি এখন দাপিয়ে বেরাচ্ছে, সেগুলির প্রকোপ কমতেও সময় লাগে না। তাই তো প্রতিদিন সকালে একটা করে ডিম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিত্‍সকেরা।

জেনে নেওয়া যাক ডিম যে কাজগুলি করে থাকে

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে: বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, ডিমের অন্দের উপস্থিত সেলেনিয়াম দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে এতটা শক্তিশালী করে তোলে যে, কোনও ধরনের সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়, সেই সঙ্গে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না।

নিমেষে ক্ষিদে কমে যায়: ব্রেকফাস্টে দুটো ডিমের অমলেট বা পোচ খেয়ে দেখুন তো কী হয়! দেখবেন দুপুরের আগে ক্ষিদে পাওয়ার নামই নেবে না। তাই যাদের সকাল সকাল অফিসে বেরতে হয়, তারা ব্রেকফাস্টে অন্য কিছুর পরিবর্তে দুটো ডিম সেদ্ধ খেয়ে বেরিয়ে পরুন।

এনার্জির ঘাটতি দূর করে: সকালে দাঁত মাজার পর টপ করে একটা ডিম সেদ্ধ খেয়ে নিতে হবে। তাহলেই দেখবেন ক্লান্তি তো দূর হবেই, সেই সঙ্গে কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি পাবে। আসলে ডিমে উপস্থিত স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং অন্যান্য পুষ্টিকর উপাদান নিমেষে দেহের প্রয়োজনীয় জ্বালানির চাহিদা পূরণ করে।

দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটে: ডিমে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, লুটিন এবং জিয়েক্সসেনথিন নামে বেশ কিছু উপকারি উপাদান দৃষ্টিশক্তির উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে ছানি হওয়ার আশঙ্কাও কমায় খালি পেটে ডিম।

প্রোটিনের ঘাটতি দূর করে: ডিমে উপস্থিত অ্যালবুমিন নামে এক ধরনের প্রোটিন পেশির গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই এনার্জি বৃদ্ধির পাশাপাশি শরীরের অভ্যন্তরীণ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্যও সকাল সকাল ডিম খাওয়াটা জরুরি।

মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়:ডিমে উপস্থিত বেশ কিছু পুষ্টিকর উপাদান মস্তিষ্কের ক্ষমতা মারাত্মক বাড়িয়ে দেয়। ফলে একদিকে যেমন বুদ্ধির বিকাশ ঘটে, তেমনি স্মৃতিশক্তি এবং মনোযোগও বৃদ্ধি পায়।

ওজন কমতে শুরু করে: একেবারেই ঠিক শুনেছেন। ডিম খেলে ওজন বাড়ে না। বরং কমে! পেনিংটন বায়োমেডিকাল রিসার্চ সেন্টারের করা এক গবেষণায় একথা প্রমাণিত হয়ে গেছে যে সকাল সকাল ডিম খেলে দিনের অনেকটা সময় পর্যন্ত ক্ষিদে পায় না। ফলে খাওয়ার পরিমাণ কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে শরীরে মাত্রাতিরিক্ত ক্যালরি জমার সম্ভাবনাও হ্রাস পায়। ফলে স্বাভাবিকবাবেই ওজন কমতে শুরু করে।


(সংগৃহীত)