ক্যান্সার নিরাময়ে ভেষজ উপাদান কতটা কার্যকর! - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Thursday, 14 November 2019

ক্যান্সার নিরাময়ে ভেষজ উপাদান কতটা কার্যকর!





অনলাইনের বিভিন্ন ওয়েবসাইটে প্রায় দেখা যায়, ভেষজ নানা উপাদান ক্যান্সার নিরাময়ে ভূমিকা রাখে ।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক এক ক্যান্সার সম্মেলনে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কিছু কিছু ভেষজ উপাদানের কারণে ক্যান্সার চিকিৎসা বাধাগ্রস্ত হয়।

বিশেষজ্ঞরা জানান, স্তন ক্যান্সার শরীরে ছড়িয়ে যাওয়ার পর আদা, রসুন কিংবা জিঙ্কগো দিয়ে তৈরি ট্যাবলেট, ক্যাপসুল গ্রহণ করলে ত্বকের ঘা সারতে বেশি সময় নেয়।

ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ও সার্জন অধ্যাপক ডা. মারিয়া জোও কার্ডোসো জানান, ভেষজ থেরাপি কিংবা ক্রিম ক্যান্সার নিরাময়ে কাজ করে এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে এ ধরনের ফল খেতে নিষেধ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।


তার মতে, যেটা নিয়ে সন্দেহ আছে এমন কিছু গ্রহণ না করাই ভালো।

পর্তুগালের লিসবনের চ্যাম্পালিমাউড ক্যান্সার সেন্টারের হেড ব্রেস্ট সার্জন অধ্যাপক কার্ডোসো জানান, যেকোন ধরনের ভেষজ উপাদান গ্রহণ করার আগে ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নেওয়া উচিৎ, তা না হলে সেটি চামড়ায় ছড়িয়ে যেতে পারে।

তিনি আরও জানান, অন্যান্য ক্যান্সারের তুলনায় স্তন ক্যান্সারের ক্ষেত্রে এটি বেশি ঘটে।

অধ্যাপক কার্ডোসো বলেন, হরমোন থেরাপি কিংবা কেমোথেরাপি চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে ভেষজ উপাদান গ্রহণ করলে অনেক সময় ক্ষত সারতে কিংবা রক্ত জমাট বাঁধার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়।

বিশেষ করে সবুজ চিরেট্টা ,রসুন, গিংকো , হর্স চেস্ট নাট, হলুদ ইত্যাদি ভেষজ উপাদান রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয়।

অধ্যাপক কার্ডোসো বলেন, ক্যান্সারে আক্রান্তরা অনেক সময় বিকল্প চিকিৎসার খোঁজ করেন এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। তবে এতে ভালো হওয়ার চেয়ে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

যুক্তরাজ্যের একটি ক্যান্সার গবেষণা ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, প্রচলিত ক্যান্সার চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে ভেষজ চিকিৎসা নেওয়া ঠিক নয়। ওয়েবসাইটটি জানিয়েছে, কেমোথেরাপি বা হরমোন থেরাপির চিকিৎসার সময় জাম্বুরা কিংবা কমলার মতো ফল বা জুস গ্রহণ করা ঠিক নয়। এতে ক্যান্সারের চিকিৎসা প্রভাবিত হতে পারে।

এ ওয়েবসাইটটিতেও ক্যান্সার নিরাময়ে ভেষজ গ্রহণের আগে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলা হয়েছে।

তবে অ্যাডভান্সড স্তন ক্যান্সারের পঞ্চম আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অধ্যাপক কার্ডোসো জানান, যোগব্যায়াম, মননশীলতা, রিকি এবং আকুপাংচারের মতো থেরাপি ক্যান্সার রোগীদের জীবনযাত্রার মানের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad