দেবশ্রী মজুমদারঃ এক সপ্তাহ জুড়ে বাঘ আতঙ্ক ছড়িয়েছে মুরারই জুড়ে। গত ২৪ সেপ্টেম্বর মুরারই- চাতরার মাঝে পাগলা নদীর উপর সেতুর কাজ চলছিল। সেখানে বাঘ দেখা যায় বলে কর্মরত শ্রমিকরা দাবি তোলেন। এবার বাঘ দেখতে পাওয়ার আতঙ্ক ছড়ায় মুরারই থানার বাসলৈ নদীর ধারে বালিয়া গ্রামে। এই দিন রাত আটটার সময় গ্রামের এক স্কুলের পাশের বাগানে কিছু মানুষ এই বাঘ দেখতে পান বলে দাবি করেন।
এই খবর চাউর হতে অতঙ্কিত হয়ে পড়ে গোটা গ্রাম। বালিয়া গ্রামের বাসিন্দা দীপঙ্কর চক্রবতী ও পালশা গ্রামের প্রধান অষ্টম দাস বলেন, আমরা রাত্রে চারিদিকে চিৎকার শুনে বাড়ি থেকে বের হয়। গ্রামের লোকেরা লাঠি মশাল নিয়ে হল্লা পার্টি বের করে রাস্তায়। আমরা পায়ের ছাপ দেখতে পায়। সেটা সত্যি বাঘের না অন্য কিছু জন্তুর বলতে পারবনা। রাতেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে মুরারই থানার পুলিশ। বিষয়টি এলাকার বিডিও সাহেবের নজরে আনা হয়েছে। দু দিন আগে বাসলৈ নদীতে জল ছিলো কানাই কানাই।
এলাকাবাসীর অনুমান, ঝাড়খড় পাহাড় থেকে জলে ভেসে আসতে পারে বাঘ। কয়েক দিন আগে পার্শবর্তী ঝাড়খন্ড এর গ্রামে বাঘ দেখা যাই। সেখানে বাঘের কামড়ে এক জন মারা যান। তাই আতঙ্কে রয়েছে গোটা গ্রাম। উল্লেখ্য, গত ২৪ সেপ্টেম্বর মুরারই- চাতরার মাঝে পাগলা নদীর উপর সেতুর কাজ চলছিল। তাঁবুতে ছিল মুরারই থানার গুসকিরা গ্রামের বাসিন্দা ঠিকা শ্রমিক ফায়জল সেখ। সে হঠাৎ লক্ষ্য করে বাঘের যাতায়াত। তারপর লাঠি সোঁটা হল্লা হয়। অনেক ঠিকা শ্রমিক ওখানে থাকতে অস্বীকার করে।
ঝাড়খন্ড পেরিয়ে একের এক বাঘের আতঙ্ক জেরবার বীরভূমের মুরারই। অতিরিক্ত জেলা বনাধিকারিক বিজন কুমার নাথ বলেন, গুজব বা সত্যি যায় হোক, পুজোর মুখে মুরারই, রামপুরহাট ও মুহাম্মদ বাজার রেঞ্জ সতর্ক আছে। আমরা ঘটনা স্থলে গেছি। কোন পায়ের ছাপ আমরা পাই নি। আগেও পাই নি। এবারও পাই নি। এটা মনে হচ্ছে গুজব। কারণ, ঝাড়খন্ড থেকে বাঘ এখানে আসার ইতিহাস নেই। তবে আমরা সতর্ক আছি।
পি/ব
No comments:
Post a Comment