প্রেস কার্ড নিউজ ডেস্ক ; এবার সস্নমানে নিজের পারায় দুর্গাপুজো দেবে যৌনকর্মীরা। এবার। সসম্মানে নিজের পাড়ায় দুর্গাপুজো দেখবেন কাকলি-স্বপ্নারা (নাম পরিবর্তন)। আনন্দ করবে, নাচ-গান করবেন। যৌনকর্মী বলে কেউ তাঁদের দিকে আর বাঁকা চোখে দেখবে না। বসিরহাট দুর্বার সমিতির পরিচালনায় মাটিয়ার নিষিদ্ধ পল্লিতে হতে চলেছে দুর্গাপুজো। সহযোগিতায় যৌনকর্মী এবং বাড়িওয়ালাবৃন্দ। তাই খুশিতে মাতোয়ারা সেখানকার ৯২৮ জন যৌনকর্মী। পুজোর পাশাপাশি নাচ,গান পরিবেশনের জন্য জোরকদমে মহড়া চলছে। আয়োজকদের অন্যতম স্বপ্না গায়েনের কথায়, এখানকার যে মহিলারা পুজোর সঙ্গে যুক্ত থাকবেন, তাঁদের যেমন শুদ্ধ হয়ে পুজোর আচার অনুষ্ঠান করতে হবে, তেমনই পুজোর দিনগুলিতে তাঁরা কোনও কাজ করতে পারবেন না। ওই সব মহিলারা একরকমের পোশাকও পরবেন। এবারে পুজোর বাজেট দেড় লক্ষ টাকা। পুজো কমিটির সদস্য রণজিৎ বিশ্বাসের কথায়, ‘অনেক সময়ে এঁদের সন্তানদেরও পুজোয় অংশ নিতে দেওয়া হয় না। তাই যৌনকর্মীদের নিজেদের অধিকার বুঝে নেওয়ার জন্য লড়াই করতেই দুর্গাপুজোর উদ্যোগ।’ তাঁদের কথায়, ‘এতদিন কেবল আমাদের তাচ্ছিল্য করা হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে মণ্ডপে গিয়েও কটু মন্তব্য, হাসাহাসি, কানাকানি, এমনকি বাঁকা চোখের ইশারায় মায়ের অঞ্জলি পর্যন্ত দেওয়া হয়নি।তাই তো এবারে নিজেদের পুজোয় চুটিয়ে আনন্দ করতে চাই।ফল কাটব।লাল পেড়ে গরদের শাড়ি পরে জল সইব।সিঁদুরে রাঙিয়ে দেব মায়ের কপাল।’ তাঁদের মন্তব্য, যেখানে মায়ের মূর্তি গড়তে আমাদের ঘরের মাটির প্রয়োজন সেখানে যৌনকর্মীদের মা দর্শনে কেন এত বাধা, তা বুঝতে পারি না। আমরা মূল স্রোতে মিশতে চাই।এই আমরাই যখন কল শোতে গিয়ে মহিষাসুর পালায় দুর্গা সাজি তখন কত মানুষই না হাততালি দিয়ে আমাদের অভিনন্দিত করেন।অথচ তারাই যখন শোনে যে আমরা যৌনকর্মী, তখন মুখ ফিরিয়ে নেয়। কেউ ভাবে না আমরাও মানুষ, পরিস্থিতির শিকার হয়ে এখানে বন্দি।’ আমাদের সকলের এটা বোঝা উচিত যে তারাও তো মা। পি/ব
প্রেস কার্ড নিউজ ডেস্ক ; এবার সস্নমানে নিজের পারায় দুর্গাপুজো দেবে যৌনকর্মীরা। এবার। সসম্মানে নিজের পাড়ায় দুর্গাপুজো দেখবেন কাকলি-স্বপ্নারা (নাম পরিবর্তন)। আনন্দ করবে, নাচ-গান করবেন। যৌনকর্মী বলে কেউ তাঁদের দিকে আর বাঁকা চোখে দেখবে না। বসিরহাট দুর্বার সমিতির পরিচালনায় মাটিয়ার নিষিদ্ধ পল্লিতে হতে চলেছে দুর্গাপুজো। সহযোগিতায় যৌনকর্মী এবং বাড়িওয়ালাবৃন্দ। তাই খুশিতে মাতোয়ারা সেখানকার ৯২৮ জন যৌনকর্মী। পুজোর পাশাপাশি নাচ,গান পরিবেশনের জন্য জোরকদমে মহড়া চলছে। আয়োজকদের অন্যতম স্বপ্না গায়েনের কথায়, এখানকার যে মহিলারা পুজোর সঙ্গে যুক্ত থাকবেন, তাঁদের যেমন শুদ্ধ হয়ে পুজোর আচার অনুষ্ঠান করতে হবে, তেমনই পুজোর দিনগুলিতে তাঁরা কোনও কাজ করতে পারবেন না। ওই সব মহিলারা একরকমের পোশাকও পরবেন। এবারে পুজোর বাজেট দেড় লক্ষ টাকা। পুজো কমিটির সদস্য রণজিৎ বিশ্বাসের কথায়, ‘অনেক সময়ে এঁদের সন্তানদেরও পুজোয় অংশ নিতে দেওয়া হয় না। তাই যৌনকর্মীদের নিজেদের অধিকার বুঝে নেওয়ার জন্য লড়াই করতেই দুর্গাপুজোর উদ্যোগ।’ তাঁদের কথায়, ‘এতদিন কেবল আমাদের তাচ্ছিল্য করা হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে মণ্ডপে গিয়েও কটু মন্তব্য, হাসাহাসি, কানাকানি, এমনকি বাঁকা চোখের ইশারায় মায়ের অঞ্জলি পর্যন্ত দেওয়া হয়নি।তাই তো এবারে নিজেদের পুজোয় চুটিয়ে আনন্দ করতে চাই।ফল কাটব।লাল পেড়ে গরদের শাড়ি পরে জল সইব।সিঁদুরে রাঙিয়ে দেব মায়ের কপাল।’ তাঁদের মন্তব্য, যেখানে মায়ের মূর্তি গড়তে আমাদের ঘরের মাটির প্রয়োজন সেখানে যৌনকর্মীদের মা দর্শনে কেন এত বাধা, তা বুঝতে পারি না। আমরা মূল স্রোতে মিশতে চাই।এই আমরাই যখন কল শোতে গিয়ে মহিষাসুর পালায় দুর্গা সাজি তখন কত মানুষই না হাততালি দিয়ে আমাদের অভিনন্দিত করেন।অথচ তারাই যখন শোনে যে আমরা যৌনকর্মী, তখন মুখ ফিরিয়ে নেয়। কেউ ভাবে না আমরাও মানুষ, পরিস্থিতির শিকার হয়ে এখানে বন্দি।’ আমাদের সকলের এটা বোঝা উচিত যে তারাও তো মা। পি/ব
No comments:
Post a Comment