মেয়েদের অন্তর্বাস দেখে যৌন অনুভূতি বা ফেটিসিজমের শিকার অনেকেই!! - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Thursday, 3 October 2019

মেয়েদের অন্তর্বাস দেখে যৌন অনুভূতি বা ফেটিসিজমের শিকার অনেকেই!!




নিজস্ব প্রতিনিধিঃ     মেয়েদের বা ছেলেদের সবার কাপড় চোপড় ছাদে বা বারান্দায় শুকোতে দেওয়া হয়, এমনকি অন্তর্বাসও। গ্রামাঞ্চলে যদিও এখনো অন্তর্বাস গামছার বা তোয়ালের নিচে শুকানো হয়। কিন্তু আমি যেটা বলতে চাচ্ছি সেটা হচ্ছে, কিছু কিছু মানুষ আছে, শুকাতে দেওয়া এসব অন্তর্বাস দেখেই তাদের মাঝে তীব্র যৌন অনুভূতি তৈরি হয়। আবার অনেকে আছে মেয়েদের এসব অন্তর্বাস চুরি করে নিয়ে যায়। এরপর সেগুলো দেখে, স্পর্শ করে যৌন উত্তেজনা বোধ করে। অনেকে আবার হস্ত মৈথুন করে বীর্য বের করে এসবের উপর ফেলে। এটাকে বলা হয় ফেটিসিজম ।

এমন আরও অনেক কিছু দেখে কেউ যৌন অনুভূতি লাভ করতে পারে। মেয়েদের চুল দেখেও অনেকে যৌন অনুভূতি পায়। এটাকে বলা হয় প্যারাফেলিয়া।



 মনোবিজ্ঞানীরা বলছে বিকৃত যৌন আচরণকারীদের বড় একটা অংশই শৈশবে নানান ভাবে যৌন আচরণের শিকার হয়েছিল। মানুষ তার সারাজীবনে যা শিখে তার অর্ধেক শিখে প্রথম দু বছরে। বাড়িতে বেড়াতে এসে কেউ হয়ত তার স্পর্শকাতর জায়গায় হাত রেখে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করত।

ফেটিসিজম আসলে কোথা থেকে শুরু হয় এটাও বলা মুশকিল। তবে যেকোনো বিকৃত যৌনাচরণের নেপথ্যে যেটা থাকে তা হলো স্বাভাবিক যৌনতা এবং যৌন শিক্ষার অভাব।

আমাদের সমাজে মেয়েদের ব্রাও একটা ট্যাবু। এটা একটা গোপন জিনিস। স্বভাবগত ভাবেই মানুষ গোপন জিনিসের দিকে বেশি ঝুঁকে। সাধারণত যার ব্রা নিয়ে হস্ত মৈথুন করা হয় মনে মনে তাকে কল্পনা করা হয়। এইসব মানুষ যে খুব বেশি অস্বাভাবিক আচরণ করবে তাও না । ধর্ষণ করতে উদ্যত হওয়া বা অন্য কিছুতে এদের সাহস নেই।



যদি কোনো সময় এমন হয় শুধু ব্রা অথবা প্যান্টি চুরি হয়ে যাচ্ছে তবে সচেতন হওয়া জরুরি । কারণ মানুষের বাইরের দিক থেকে কিছুই বোঝার উপায় নেই যে , কার মনে কী আছে!

বিশেষ করে বয়ঃসন্ধিকালে পৌঁছেছে এমন মেয়েদের প্রতি মানুষের আকর্ষণ বেশি থাকে। মেয়েদের মধ্যেও ফেটিসিজম দেখা দিতে পারে তবে এটার সম্ভাবনা খুবই কম। বেশির ভাগ বিকৃত যৌনাচরণ দেখা যায় পুরুষের মধ্যে।


পি/ব 

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad