সুদেষ্ণা গোস্বামীঃ বাঙালির মত বিদেশেও মাছ মানুষের বিশেষ প্রিয় ,পাশ্চাত্য দেশের মানুষ রা অর্থাৎ সাহেবরা তাদের প্রতিদিনের জীবনে নানা সংস্কার মেনে চলেন মাছ নিয়ে।যেমন গুড ফ্রাইডের দিনটিতে প্রথম মাছটি ধরে সারা বছরের মাছ ধরা পর্বের শুভ সূচনা করেন। অনেকের এই বিশ্বাস যে ওই বছর তাদের মাছ ব্যবসা যাতে লাভজনক হয়। দিনের খটখটে আলোতে যদি পেঁচা ডেকে ওঠে তা নাকি মাছ ধরার জন্য খুবই শুভ ইঙ্গিত।
আবার মাছ ধরতে যাবার পথে যদি খরগোশকে রাস্তা পেরোতে দেখেন তাহলে সাহেব বাবু মাছ ধরতে আর যাবেনা। সাহেবদের বৈঠকখানায় রঙিন একুরিয়াম দেখতে পেলেও তার মধ্যে সুন্দরী গোল্ডফিশ কে কিন্তু দেখা যাবে না কারণ তা নাকি বাড়ির কর্তার জন্য বিপদ ডেকে আনে। জেলে সাহেবদের মতে মাসের 18 তারিখ মাছ ধরার পক্ষে শুভ দিন নয় ।আবার রাস্তায় যেতে যেতে যদি আলপিন কুড়িয়ে পান তাহলে নাকি ঝরনার মতো মাছ জালে ধরা পড়বে । চিপে যে প্রথম মাছটি তারা পান সেটিকে ছেড়ে দেন জলে তাদের বিশ্বাস তাতে তাদের দিনটা ভালো যাবে।
আকাশে যদি মেঘের গর্জন শোনা যায় তাহলে নাকি সহজে মাছ টোপ গেলে। মৎস্য শিকারে যাওয়ার সময় বাড়ির পোষা কুকুরটিকে সাথে নেওয়া একদম চলবে না ওটাও নাকি দুর্ভাগ্য সূচক। আবার অনেক সাহেব তো বিশ্বাস করেন যে মাছ নাকি সঙ্গীতপ্রেমী গান-বাজনা জলাশয় এর সামনে করলে নাকি মাছ ভেসে উঠবে জালে ধরা দেবে। আবার নাকি পাশের প্রিয়জনকেও বলা চলবে না তার বড়শিতে কটা মাছ গেঁথেছে তাতে নাকি পরবর্তী ক্ষেত্রে মাছের সংখ্যা কমতে থাকবে। এরকম হাজারো কুসংস্কার জেলে সাহেবদের মনের মধ্যে আছে এবং তারা সেটা নিয়েই মাছ ধরতে যান ব্যাপারটা মজাদার লাগলেও এটাই সত্যি।
পি/ব
No comments:
Post a Comment