সুদেষ্ণা গোস্বামীঃ
চারিদিকে চড়াই-উতরাই জুড়ে শুধুই খর্বকায় চা বাগান উঠে গেছে ধাপে ধাপে। উপরে নীল বাগিচায় বিচরণ করছে মেঘ মেষ। এক মাইলের অন্তরে পাহাড়ি ঝর্ণা বাসের নলে টেনে এনে জীবনযাপনের নিত্যকর্ম। ওরাই বোঝে জলের মর্ম। কিছুদূর গেলেই নীল নদী বালাসন। তার তীর ধরে চারণভূমিতে চড়ে বেড়াচ্ছে গাভি। মাছ ধরার জন্য জেলে নৌকাগুলি ইতি উতি ঘুরছে। দিনে প্রান্তে এসে দেখুন জ্বলন্ত ফানুস পাহাড়ে দুলছে আর ডুবছে।তারপর মরণঝাঁপ খাদের গহবরে।
চা পর্যটনের প্রধান শর্ত বাগিচা জীবনের সুখ ,অসুখ গ্রহণ-বর্জন বিশ্বাস ও বিনোদনের পারস্পরিক বিনিময় করে নেওয়া।আর আছে জানার কিভাবে কাঁচা পাতা ড্রায়ার ছুঁয়ে আরও যান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ডাস্ট ফ্লেভার চা পাতা হয়ে শত কোটি মানুষের ভোরের মেজাজ তরতাজা করে দেয়।
এখানে ফুলকারি কে নিয়ে গড়ে উঠেছে চা কুলিদের ব্যারাক। গানের ফুলকি যেখানে উড়ে উড়ে দেয় মেঘ পারি সেই তো হলো মাকাইবারি।
শিলিগুড়ি থেকে গাড়িতে রোহিণীর রাস্তায় কার্শিয়াং হয়ে ফুলবাড়ী দেড় ঘন্টা।
আমি ওদের ঘরে নিশি যাপন করতে পারেন এরকম অনেক হোমস্টে ওখানে পেয়ে যাবেন।
পি/ব
No comments:
Post a Comment