সুদেষ্ণা গোস্বামী: ছোটবেলায় যখন ঠাকুর দেখতে বেরোতাম তখন প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে এত ভিড় কোনদিনও দেখিনি। এখন চারিদিকে এত থিমের পুজো তার ওপর সোনা, রুপো, হীরে জহরতে মা যেখানে সেজে উঠছে সেখানে ঠাকুর দেখার লম্বা লাইন তো হবেই।
তবে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে যে সমস্যার মুখোমুখি বারবার হই আমরা সেটা হলো জুতোর।
পুজোয় চাই নতুন জুতো।লাস্ট মোমেন্টে এসে বাবা-মার কাছ থেকে বা পকেট মানি জমিয়ে যে জুতোটা কেনা হয় প্রথমে পড়ে বেরোনোর সময় মনে হয় আমি হয়ে গেলাম সুপারস্টার। তারপর কিছুদূর ঠাকুর দেখার পর থেকেই যে যন্ত্রণা শুরু হয় তার সাথে চলে ল্যাংড়া হয়ে হাঁটার পালা তখন হিরো থেকে জিরো তে নামা ছাড়া আর কোন উপায় থাকেনা। নতুন জুতো পরতে গেলে জুতোর মধ্যে দুদিন আগে থেকে ভেসলিন লাগিয়ে রাখ। অথবা পুরনো জুতো পরেই প্যান্ডেল হপিং করাই ভালো। পারলে আরামদায়ক স্পোর্টস শু পড়ে নাও। এতে ঠাকুর দেখা অনেক সহজ হয়ে উঠবে। নতুন যতটা না হয় পাড়ার প্যান্ডেল এর জন্যই থাক।
দ্বিতীয় সমস্যাটি যেটি হয় সেটি হচ্ছে মেকআপ পুরোপুরি গলে গিয়ে ভুতের মত চেহারা নেয় চাঁদপানা বদনটির। তাই মেকআপ করার আগে এক টুকরো বরফ হালকা করে দুই মিনিট ঘষে নিলে মেকআপ অনেকক্ষণ স্টে করে। তাছাড়া ব্যাগে সবসময় ফেস পাউডার রাখা দরকার একটু-আধটু টাচ আপ হয়ে যাবে।
তৃতীয় সমস্যাটি হল জলতেষ্টা পাওয়া।লম্বা লাইন থেকে বেরিয়ে গিয়ে জল কেনা প্রায় অসম্ভব হয়ে ওঠে তাই ব্যাগে সবসময় জলের বোতল রেখে দিন।
চার নম্বর সমস্যা হল হাত ধোয়ার সমস্যা ভালো-মন্দ খেতে গিয়ে হাতটা ধুতেই আমরা ভুলে যাই, তাই একটা হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যাগের মধ্যে রেখে দেওয়া ভালো।
পাঁচ নম্বর যে সমস্যাটি যা হয় সেটা আমরা সবাই অল্পবিস্তর নিশ্চয়ই ভুক্তভোগী । সেটি হলো হারিয়ে যাওয়ার সমস্যা। প্রিয়জন হাত থেকে ছিটকে কোথায় যেন চলে গেছে। এই রকম সমস্যা এড়াতে যখন যে প্যান্ডেলে ঢুকবেন তখন একটা নির্দিষ্ট স্থান সবার মধ্যে ঠিক করে নেবেন যদি নিজেরা বিক্ষিপ্ত হয়ে যান সেই স্থানে একত্রিত হন।ছোট বাচ্চা থাকলে তাদের পকেটে অবশ্যই ফোন নাম্বার অ্যাড্রেস লিখে ঢুকিয়ে দেবেন।
ব্যাস আপনার পুজো কাটুক আনন্দে এটুকুই আশা রাখবো।
পি/ব
No comments:
Post a Comment