কি করে বুঝবেন আপনার হৃদ রোগ হয়েছে

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ       আমরা বিভিন্য জায়গা থেকে হূদরোগে আক্রান্ত বিভিন্ন রকম খবর পেয়ে ভয় পেয়ে যাই।মনে দানা বাঁধতে থাকে আমার আবার এই রোগ হচ্ছে না তো। চলুন জানি রোগের লক্ষণ গুলো কি কি।



শ্বাসকষ্ট হওয়া :- 

অল্প পরিশ্রমে হাঁপিয়ে যাওয়া, শ্বাসকষ্টের সঙ্গে বুকে ব্যথা অনুভূত হওয়া বা বুক ধড়ফড় করা হৃদরোগের লক্ষণ। শ্বাসকষ্টের সঙ্গে শুকনো কাশি থাকতে পারে। বিছানায় শুতে গেলে শ্বাসকষ্ট ও কাশি হওয়া, মধ্যরাতে শ্বাসকষ্টের জন্য ঘুম ভেঙে যাওয়া, শ্বাসকষ্টের সঙ্গে বুকের ভেতর চাপ অনুভব করা, পরিশ্রমের সময় শ্বাসকষ্ট হওয়া এবং বিশ্রাম গ্রহণ করলে তা কমে যাওয়া। শয়ন অবস্থায় শ্বাসকষ্ট হওয়া এবং উঠে বসে গেলে শ্বাসকষ্ট কমে যাওয়া হৃদরোগজনিত শ্বাসকষ্টের ধরন। এসব ধরনের শ্বাসকষ্ট হলে বুঝতে হবে আপনার হৃদরোগের মাত্রা অনেক বেড়ে গেছে। তার জন্য আপনার সুচিকিৎসা গ্রহণ করা অত্যাবশ্যক।



খুব বেশি দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হলে, কোনো দুঃস্বপ্ন দেখার পর, কোনো হৃদয়বিদারক ঘটনা অবলোকন করা বা জানার পর, ভরা পেটে অথবা খুব ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় হাঁটার সময় কিংবা পাহাড় বেয়ে উপরে উঠার সময়, সিঁড়িতে উঠার সময়, খুব বেশি তাড়াহুড়া করে স্বাভাবিক কার্যসম্পাদন করার সময়ও এ জাতীয় ব্যথা অনুভূত হতে পারে। তীব্র বুকের ব্যথার সঙ্গে শরীর অত্যধিক ঘেমে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট হওয়া, বুক ধড়ফড় করা, বমি বমি ভাব হওয়া বা বমি হওয়া ইত্যাদি হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ। এক্ষেত্রে খুব তাড়াতাড়ি অভিজ্ঞ চিকিৎসক অথবা হাসপাতালের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।



শরীরে জল আসা :- 

হাত-পা, মুখ ও সারা শরীর জলেতে ফুলে যাওয়া হৃদরোগের একটি প্রধান লক্ষণ। তবে অন্যান্য কারণেও এ ধরনের উপসর্গ দেখা দিতে পারে। যেমন : লিভার ফেইলুর, কিডনি ফেইলুর, খুব বেশি রক্তশূন্যতা, গর্ভকালীন সময়ে, অপুষ্টিজনিত কারণে, থাইরয়েড গ্রন্থির অসুখে এবং কখনো কখনো বিভিন্ন ওষুধের পাশর্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে এ উপসর্গ দেখা দিতে পারে।



বুক ধড়ফড় করা :-  

আমরা সাধারণত হার্টবিট বা হৃদস্পন্দন অনুভব করি না। আমাদের অজান্তেই প্রতি মিনিটে ৬০ থেকে ১০০ বার আমাদের হার্টবিট হচ্ছে কিন্তু যদি কখনো আমরা বুকের হার্টবিট অনুভব করি, এ অবস্থায় হার্টবিট বুঝতে পারাকেই চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় প্যালপিটিশন বা বুক ধড়ফড় করা বলা হয়। প্যালপিটিশনের সঙ্গে হৃদরোগের অন্যান্য লক্ষণ একসঙ্গে থাকতে পারে।




পি/ব