নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সাবধান ধনতেরাসে সোনা বিক্রি এবং সোনার চাহিদা দুটোই বাড়বে ।আর এই চাহিদার হাত ধরেই সোনার ঠগ ব্যবসায়ীরা আসরে নেমে পরেছেন। লোক ঠকানোর জন্যকেনার আগে অবশ্যই সম্ভব সোনার চাহিদা ,যেই চাহিদা বেড়েছে সোনার ঠগ ব্যবসায়ীরা আসরে নেমে পরে। কিছু স্বর্ণ ব্যবসায়ী সোনায় একটা বিশেষ ধরণের পাউডার ব্যবহার করছেন ৷ এই পাউডার লাগালেই সোনা ২৪ ক্যারেট না ২২ ক্যারেট নাকি তারও চেয়েও কম ক্যারেটের তা প্রমাণ করা প্রায় অসম্ভব হয়ে যাচ্ছে ৷
ফলে গ্রাহকরা বিশাল ক্ষতির মুখে পরছেন ৷ জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশানের প্রধান যোগেশ সিংঘল জানিয়েছেন তারা এরকম অভিযোগ ইতিমধ্যেই পেয়েছেন ৷ পাশাপাশি এই অভিযোগ ভিত্তিহীণ নয় এটাও মেনে নিয়েছেন তিনি । এই সময়ে দোকানে বিক্রি বাড়াতে বিভিন্ন দোকান বিভিন্ন ছাড়ের অফার দেয় ৷ সঙ্গে থাকে লাকি ড্র , কিন্তু লাভের পরিমাণ যেন এতে না কমে তাই সোনার মানেই হেরফের করে দিচ্ছেন বিক্রেতারা ৷ ইতিমধ্যেই দিল্লিতে এই ঘটনার সবচেয়ে বেশি ।তাই এই ধরণের জাল সোনা কেনা থেকে বাঁচতে যে কাজগুলি করতে পারেন গ্রাহকরা তারমধ্যে প্রথম হল সোনার যে জিনিসটিই কিনছেন তাতে যেন হলমার্ক থাকে ৷
হলমার্ক সোনায় ৯৯৯ লেখা থাকে যার মানে ৯৯.৯ শতাংশ শুদ্ধ ৷ আর যদি ৯১৬ লেখা থাকে তার মানে সোনাটি ৯১.৬ শতাংশ শুদ্ধ ৷ এর মান ২২ ক্যারেটের সোনা সেটি ৷ কখনও কখনও কোনও কোনও দোকান ২৪ ক্যারেট সোনা বলে বিক্রি করে, কিন্তু সেই সোনার দাম ২২ ক্যারেটের দামের চেয়েও কম নেন ৷ এতে আনন্দিত হওয়ার কিছু নেই , এর মানে দোকানদার আপনাকে নকল যখন জিনিস কিনবেন তখন নিশ্চিতভাবে পাকা রসিদ নেন ৷
তাহলে সেই সোনার মানের বৈধতা অনেকবেশি ভালো হয়। সোনার মধ্যে যে পাউডার মেশানো হচ্ছেএই পাউডার বিদেশ থেকে ভারতে আনানো হচ্ছে ৷ অনেকটা সিমেন্টর মতে এই পাউডার সোনার গয়নায় মাখানো থাকলেও সাধারণ গ্রাহকরা এক নজরে দেখে তার অস্তিত্ব বুঝতে পারবেন না ৷ তাই যখনই সোনা কিনবেন তা নকল না আসল দেখে কিনবেন।
পি/ব
No comments:
Post a Comment