প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক ; প্রেমের প্রথম ধাপই হল চুমু। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মানুষকে অভিনন্দন জানানো হয় চুমু খেয়ে।যদিও এটি আমাদের দেশ প্রযজ্য নয়। আমাদের দেশে অবশ্য স্নেহ আর প্রেম বোঝাতেই চুমুর প্রযজ্য।
ব্যাকটেরিয়া বিনিময়ঃ
চুম্বনের সময় দুটো মানুষের মধ্যে ১ কোটি থেকে ১০০ কোটি ব্যাকটেরিয়া বিনিময় হতে পারে।
চুমুতে খরচ সময়ঃ
একজন সাধারণ মানুষ তার জীবনের ২টো সপ্তাহ কাটে চুমু খেয়ে।
ডানপন্থীঃ
বিশ্বের দুই তৃতীয়াংশ প্রেমিক, প্রেমিকা চুম্বনের সময় তাদের মাথা ডানদিকে হেলিয়ে থাকে। ৬৬ শতাংশ লোক (নারী-পুরুষ নির্বিশেষে) চুম্বনের সময় নিজেদের চোখ বন্ধ রাখেন। বাকিরা পার্টনারের চোখেমুখের আবেগকে লক্ষ করেন। মার্কিনি পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, আমেরিকান মহিলাদের অধিকাংশই বিয়ের আগে প্রায় ৮০ জন পুরুষকে চুম্বন করে ফেলেন।
চুম্বনে পেশিশক্তিঃ
এক একবারের চুম্বনে মুখের ২৯টি পেশির সঞ্চালন হয়। চুম্বনের সময় ৩৪টি ফেসিয়াল মাসল ও ১১২টি postural মাসেলের ব্যবহার হয়।
নিষিদ্ধ চুম্বনঃ
১৪৩৯ সালে ইংল্যান্ডের রাজা হেনরি সিক্স তার রাজত্বে চুম্বনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। কারণ চুম্বনের ফলে নাকি তার রাডত্ব রোগ ছড়িয়ে পড়ছে। নিজের প্রেমিকাকে চুম্বনের কারণেও সেসময় জেল হয়েছিল। নাভেদাতে আবার এখনও কোনও পুরুষের গোঁফ থাকলে চুমু খেলে সেটাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়।
পর্দার চুম্বনে নিষেধাজ্ঞাঃ
বড় পর্দায় প্রথম চুম্বনের দৃশ্য দেখানো হয়১৯২৭ সালে। উইংস নামের এক হলিউডি সিনেমায় প্রথমবার চুমু খান নায়ক-নায়িকা। তবে এরপর থেকে চুম্বনের ওপর নানা নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। পর্দায় প্রেমিক-প্রেমিকা হলে তারা কখনই শুয়ে চুমু করতে পারবে না, স্বামী-স্ত্রী হলে বিছানাতেই করতে হবে, তিন সেকেন্ডের বেশি দৃশ্য থাকা চলবে না। এরকম নানা নিষেধাজ্ঞা জারি করে সেনসরশিপ রেগুলেশন বোর্ড। ১৯৪৬ সালে নোটোরিয়াস ছবির পর সেসব নিয়ম উঠে যায়। এরপর হলিউডে 'টাইটানিক', 'কাসাব্লাঙ্কা', 'গন উইথ দ্য উইন্ড', 'স্পাইডারম্যান'-এর মত সিনেমায় চুম্বনের দৃশ্য তোলাপাড় ফেলে দেয়।
চুম্বন বিশেষজ্ঞঃ
চুম্বনকে নিয়ে বিজ্ঞানকে বলে 'ফিলেমাটোলজি'। কীভাবে চুমু খাবেন, কেন খাবেন, কতক্ষণ ধরে খাবেন, চুমুর মাধ্যমে প্রেমিক/প্রেমিকার মন কীভাবে জিতবেন এসবই ফিলিমাটোলজি বিশেষজ্ঞরা তাদের ক্লায়েন্টদের পরামর্শ দেন। বিশ্বের চুমু বিশেষজ্ঞরা প্রচুর টাকা রো
আয়ু বাড়াতে চুমুঃ
লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সমীক্ষায় প্রকাশ নিয়মিত চুমু খেলে আয়ু পাঁচ বছর পর্যন্ত বাড়তে পারে। চুম্বন প্রক্রিয়া ক্যালোরি খরচ হয়। চুম্বনের সময় হার্টবিট বেড়ে গিয়ে মস্তিষ্কেও বেশি পরিমাণে অক্সিজেন পৌঁছয়। চুম্বনের ফলে দাঁতেও চট করে প্লাক জমতে পারে না, কারণ মুখগহ্বরে স্যালাইভার পরিমাণ বেড়ে যায়।
চুম্বনের উপকারিতাঃ
গভীর চুম্বনের সময় প্রায় ৯০ সেকেন্ড ধরে ব্লাড প্রেশার আর পাল্স রেট বেড়ে যায় উত্তেজনায়। এমনকী মিনিটখানেকের জন্য শরীরে কিছু কিছু হরমোনেরও আধিক্য ঘটে। চুমুর ফলে শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, শরীরে ব্যথা কমে, মাথাধরা সেরে যায়, দাঁতের ক্ষয়রোধ করে।
ইতালি সেরাঃ
এক মার্কিন পত্রিকার সমীক্ষায় প্রকাশ চুম্বনের বিষয়ে সবচেয়ে এগিয়ে থাকা দেশ হল ইতালি। তবে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের প্রেমিক-প্রেমিকাই চুমু খাওয়ার বিষয়ে পারদর্শী নয় বলে সমীক্ষায় প্রকাশ।
পি/ব
No comments:
Post a Comment