নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বীর্যহীন যৌনমিলন সমাপ্তি এক বাধ্যকর পরিস্থিতি ছাড়া কিছু নয়। শুকনো যৌনমিলনে পরিতৃপ্তি থাকতে বাধ্য হওয়া নানা শাররীক কারনে হতে পারে। তবে শুকনো যৌনমিলন পরিতৃপ্তির অতি স্বাভাবিক কারনগুলোর মধ্যে হল –
বিপরীতগামী বীর্যস্থলনের কারনে বীর্য মুত্রনালী হয়ে বাহিরে আসার পরিবর্তে যদি মুত্রথলির দিকে প্রবাহিত হওয়া। অনেক সময়
অস্ত্রপ্রচারের কারনে মূত্রস্থলীর গ্রীবা সংলগ্ন গ্রন্থি অপসারিত হয়। আবার অনেক সময় অস্ত্রপ্রচারের কারণে মূত্রস্থলী অপসারিত হয়। তাহলে প্রতিকার?
পেলভিক অঞ্চলে বেগুনী রশ্মি থেরাপী উচ্চশক্তিসম্পন্ন বা তেজস্ক্রিয় রশ্মি প্রয়োগ করেই এই রোগের চিকিৎসা করা হয়।
এই শুকনো যৌনমিলন পরিতৃপ্তির চিকিৎসা তার কারণের উপর নির্ভরশীল। বিপরীতগামী বীর্যস্থলনের কারণে বীর্য বাহির না হলে অবশ্যই বিপরীতগামী বীর্যস্থলনের চিকিৎসা করাতে হবে। বিপরীতগামী বীর্য স্খলন বোঝা যায় স্খলিত বীর্যপাতের পরিমাণ দেখে।
এবার দেখে নেওয়া যাক স্বাভাবিক বীর্যস্থলনে প্রতিবার বীর্যের পরিমান কতটুকু?
১) ২০-৩০ বছর বয়সী পুরুষের বীর্যস্থলনে বীর্যের পরিমান প্রায় ৪ মিঃলিঃ।
২) ৩০-৫০ বছর বয়সী পুরুষের বীর্যস্থলনে বীর্যের পরিমান প্রায় ৩.৫ মিঃলিঃ।
৩) ৫০-৭০ বছর বয়সী পুরুষের বীর্যস্থলনে বীর্যের পরিমান প্রায় ২ মিঃলিঃ।
৪) ৭০ উর্দ্ধ পুরুষের বীর্যস্থলনে বীর্যের পরিমান ১ মিঃলিঃ-র মত।
উপরে প্রদত্ত তথ্যগুলো “হিউম্যান রি-প্রোডাকশান” জার্নালের ২০০৩-র ইস্যুতে বিশদভাবে আলোচিত। প্রত্যেক বয়স সীমার পুরুষের মধ্যে অনেকে উল্লেখিত মাত্রার চেয়ে অনেক বেশি কিংবা অনেক কম মাত্রায় বীর্য উৎপন্ন করতে পারেন।
প্রোস্টেটিকটমি (Prostatectomy – প্রোস্টেট অপসারণ) এর পর শুকনো যৌনমিলন পরিতৃপ্তি:
প্রোস্টেট অস্ত্রপ্রচার তথা প্রোস্টেটিকটমিতে প্রস্টেট গ্রন্থি ও অন্ডকোষ যা বীর্য উৎপন্ন করে অপসারনের
প্রস্টেট গ্রন্থি ও অন্ডকোষ অপসারনের পরও শুক্রাশয় শুক্রানু উৎপন্ন করে। যাইহোক, শুষ্ক বীর্যস্থলনের সময় শুক্রানু বাহিরে আসতে পারেনা এবং ফলশ্রুতিতে শরীর শুক্রানুগুলোকে পুনরায় শোষন করে নেয়।
পি/ব
No comments:
Post a Comment