বেআইনি গরু পাচার আটকাতে বিশেষ নজরদারি চালাবে সিবিআই

প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক ;      রাজ্যের বাংলাদেশ সংলগ্ন একাধিক সীমান্তবর্তী অঞ্চল থেকে বাংলাদেশে বেআইনিভাবে গরু পাচার করার অভিযোগ রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। এবার সেই বেআইনি গরু পাচার আটকাতে বিশেষ নজরদারি চালাবে সিবিআই। জানা গিয়েছে, গরু পাচারের মতো অবৈধ ব্যাবসার সাথে যুক্ত সন্দেহভাজনদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থা নিতে চলেছে এই কেন্দ্রীয় সংস্থাটি।


 সিবিআই সুত্রে খবর, কিছুদিন আগে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় বেআইনিভাবে গরু পাচারের ঘটনা বিশদে বর্ননা করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের কাছে একটি চিঠি দেয়। ওই চিঠি পাওয়ার পরেই নড়েচড়ে বসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়। ঘটনার গুরুত্ব বুঝে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে ঘটনার পুর্নাঙ্গ তদন্তের দায়িত্ব দেয়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের নির্দেশ পাওয়ার পরেই ঘটনার তদন্তভার নিজেদের কাঁধে তুলে নিতে চলেছে সিবিআই।


সিবিআই সুত্রে জানা গিয়েছে, গরু পাচারকারীরা এখন আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। কোনওভাবে সন্দেহভাজনরা যদি সীমান্ত প্রতিরক্ষা বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে যায়, তাহলে তারা পালানোর পরিবর্তে পালটা হামলা চালাচ্ছে। গত মাস চারেক আগে বসিরহাটে পাচারকারীদের বোমার আঘাতে এক বিএসএফ জওয়ানের একটি হাত সম্পুর্ন নষ্ট হয়ে যায়। এই ঘটনার পরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের কাছে চিঠি লিখে পুরো ঘটনার কথা বিশ্লেষন করে বিএসএফ। তারপরেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের তরফে সিবিআইয়ের হাতে এই ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয় বলে সুত্রের খবর।



অন্যদিকে, নদীপথে গরু পাচারের জন্য নতুন পদ্ধতি আবিসজার করেছে পাচারকারীরা। সীমান্তরক্ষীবাহিনী সুত্রে জানা গিয়েছে, বহু সংখ্যাক গরু একসঙ্গে কলাগাছের ভেলার সাথে বেঁধে ভাসিয়ে দেওয়া হচ্ছে নদীতে। আর গরুর গলায় দড়ি দিয়ে বাঁধা থাকছে বিস্ফোরক। ফলে পাচার হয়ে যাওয়া গরুগুলোকে ধরতে গেলেই বিস্ফোরনের আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। যার ফলে প্রানের ভয়ে বিএসএফ পাচার গতে চলা গরুর পাশে যেতে সাহস দেখাচ্ছে না সচারাচার। এছাড়াও সিবিআই সুত্রে জানা গিয়েছে, এই ধরনের গরু পাচারের ঘটনার সাথে জড়িত একাধিক প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা সহ প্রশাসনের একশ্রেণীর কর্মকর্তারা।যাদের বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ে দেওয়া রিপোর্টে উল্লেখ করেছে বিএসএফ।



 সিবিআই সুত্রে জানা গিয়েছে, গরু পাচারের বেআইনি অর্থের ভাগ পৌছে যাচ্ছে নেতা ও প্রশাসনিক বিভিন্ন স্তরে। যার ফলে ঘটছে পাচারকারীদের লাগামছাড়া বাড়বাড়ন্ত। সিবিআই সুত্রে জানা গিয়েছে, তারা প্রাথমিকভাবে চাইছে গরু পাচারের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত ব্যাক্তিদের চিহ্নিত করা।




পি/ব