প্রেস কার্ড নিউজ ডেস্ক ;
ওজন হ্রাস করতেঃ
ওজন কমাতে অ্যালভেরা জুস বেশ কার্যকরী। ক্রনিক প্রদাহের কারণে শরীরে মেদ জমে। অ্যালোভেরা জুসের অ্যান্টি ইনফ্লামেনটরী উপাদান এই প্রদাহ রোধ করে ওজন হ্রাস করে থাকে। অ্যালোভেরা জেলে ম্যাগনেশিয়াম, কপার, পটাশিয়াম, আয়রন, সোডিয়াম, জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম আরও অনেক মিনারেল রয়েছে। পুষ্টিবিদগণ এই সকল কারণে ডায়েট লিস্টে অ্যালোভেরা জুস রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
হজমশক্তি বাড়াতে
হজমশক্তি বৃদ্ধিতে অ্যালোভেরা জুসের জুড়ি নেই। এটি অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি করে অন্ত্রে প্রদাহ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া রোধ করে। যা হজমশক্তি বাড়িয়ে থাকে।
হৃদযন্ত্রসুস্থ রাখতেঃ
আপনার হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে অ্যালোভেরা জুস। অ্যালোভেরা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়। দূষিত রক্ত দেহ থেকে বের করে রক্ত কণিকা বৃদ্ধি করে থাকে। যা দীর্ঘদিন আপনার হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে থাকে।
মাংসপেশী ও জয়েন্টের ব্যথা প্রতিরোধঃ
অ্যালোভেরা মাংসপেশীর ব্যথা কমাতে সাহায্য করে থাকে। এমনকি ব্যথার স্থানে অ্যালোভেরা জেলের ক্রিম লাগালে ব্যথা কমে যায়। অ্যালোভেরায় মিনারেল, অ্যামিনো অ্যাসিডসহ নানা ধরণের পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে। যা হাড় ও মাংসপেশিকে শক্তিশালী করে।
দাঁতের যত্নেঃ
অ্যালোভেরা জুস দাঁত এবং মাড়ির ব্যথা উপশম করে থাকে। এতে কোন ইনফেকশন থাকলে তাও দূর করে দেয়। নিয়মিত অ্যালোভেরা জুস খাওয়ার ফলে দাঁত ক্ষয় প্রতিরোধ করা সম্ভব।
ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতেঃ
অ্যালোভেরা জুস রক্তে সুগারের পরিমাণ ঠিক রাখে এবং দেহে রক্ত সঞ্চালন বজায় রাখে। ডায়াবেটিসের শুরুর দিকে নিয়মিত এর জুস খাওয়া গেলে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা সম্ভব। খাওয়ার আগে বা খাওয়ার পরে নিয়মিত অ্যালোভেরা জুস পান করুন।
ত্বকের যত্নেঃ
ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরার ব্যবহার সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। এর অ্যান্টি ইনফ্লামেনটরি উপাদান ত্বকের ইনফেকশন দূর করে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা কমিয়ে দেয়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিঃ
অ্যালোভেরা হল অ্যান্টি ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান সমৃদ্ধ একটি উদ্ভিদ। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং দেহের টক্সিন উপাদান দূর করে থাকে। অ্যালোভেরা জেলের জুস নিয়মিত পান করতে পারেন। এটি দেহে শ্বেতকণিকা গঠন করে যা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে।
ক্যান্সার প্রতিরোধেঃ
নতুন গবেষণা অনুসারে অ্যালোভেরা জেলে রয়েছে অ্যালো- ইমোডিন নামক উপাদান যা স্তন ক্যান্সার ছড়ানো রোধ করে থাকে। অন্যান্য ক্যান্সার প্রতিরোধেও অ্যালোভেরা জেল বেশ কার্যকরী।
রক্তচাপ কমাতেঃ
সাহায্য করে অ্যালোভেরার ঔষধি গুণ রক্তচাপ কমায় এবং রক্তে কোলেস্টেরল ও চিনির মাত্রা স্বাভাবিক অবস্থায় আনতে সাহায্য করে। ১১ ক্ষতিকারক পদার্থ অপসারণ করতে দেহে ক্ষতিকর পদার্থ প্রবেশ করলে তা অপসারণ করতে সাহায্য করে অ্যালোভেরা।
মুখের দুর্গন্ধ দূর করতেঃ
২০১৪ সালে এক গবেষণায় দেখা গেছে অ্যালোভেরা জেল মাউথ ওয়াশের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এতে ভিটামিন সি আছে যা মুখের জীবাণু দূর করে মাড়ি ফোলা, মাড়ি থেকে রক্তপাত বন্ধ করে দিয়ে থাকে। এছাড়া মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে সাহায্য করে।
ডায়াবেটিস প্রতিরোধেঃ
অ্যালোভেরা রক্তে সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। থাইল্যান্ডে এক গবেষণায় দেখা গেছে যে প্রতিদিন দুই টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জুস রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। এবং ডায়াবেটিস রোগ হওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস করে থাকে।
মুখের ঘা প্রতিরোধেঃ
মুখের ঘা এবং দাঁতের পোকা রোধ করতেও অ্যালোভেরা জেল কার্যকরী। মুখের ঘায়ের স্থানে অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে নিতে পারেন, এটি ঘা ভাল করতে সাহায্য করে।
হজম শক্তি বাড়াতেঃ
নিয়মিত অ্যালোভেরার রস পান করলে হজম শক্তি বাড়ে। পরিপাক তন্ত্রের নানা জটিলতা সারাতেও সাহায্য করে অ্যালোভেরা।
কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করতেঃ
সুষম খাদ্যের পাশাপাশি নিয়মিত অ্যালোভেরার রস পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
চর্মরোগ ও ক্ষত সারায়ঃ
অ্যালোভেরা প্রাকৃতিক ঔষধির কাজ করে। বিভিন্ন চর্মরোগ ও ক্ষত সারায় এটি। অনেক সময় প্রাথমিক চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয় এটি।
ক্লান্তি দূর করতেঃ
অ্যালোভেরার জুস ক্লান্তি দূর করে দেহকে সতেজ করে।
পি/ব
No comments:
Post a Comment