বিশ্বকর্মা পূজার মাহাত্ম্য কি ? - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Tuesday, 17 September 2019

বিশ্বকর্মা পূজার মাহাত্ম্য কি ?




নিজস্ব প্রতিনিধিঃ     ব্রহ্মা জগতের সৃষ্টি কর্তা। আর ব্রহ্মা পুত্র বিশ্বকর্মাই গোটা বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের নকশা তৈরি করেন। দেবতাদের রথ ও অস্ত্রও তৈরি করেন তিনিই।   মহাভারত অনুযায়ী বিশ্বকর্মা হলের শিল্পকলার দেবতা, সকল দেবতার প্রাসাদ, সকল প্রকার অলঙ্কারের নির্মাতা। বিবরণ অনুযায়ী তাঁর চার বাহু, মাথায় রাজার মুকুট।  হাতে  দাঁড়ি পাল্লা ও বিভিন্ন অস্ত্র শস্ত্র।  ভাদ্রমাসের সংক্রান্তির দিন বিশ্বকর্মার পূজা করা হয়।     



হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী বিশ্বকর্মা দেবতাদের শিল্পী। তিনি দেবশিল্পী নামে পরিচিত।   ব্রহ্মার পুত্র বিশ্ব কর্মা। মতান্তরে, অষ্টম বসু প্রভাস তাঁর পিতা।  বৃহস্পতির ভগিনী যোগসিদ্ধা তাঁর মাতা   বিশ্বকর্মার বাহন হাতি।  রামায়ণে উল্লিখিত বিশ্বকর্মার স্থাপত্যকীর্তিগুলি হল:


কুঞ্জর পর্বতের ঋষি অগস্ত্যের ভবন,কৈলাস পর্বতে অবস্থিত কুবেরের অলকাপুরী ও লঙ্কা নগরী। এছাড়া বিশ্বকর্মা ব্রহ্মার জন্য নানা অলংকারে সজ্জিত পুষ্পক বিমান নির্মাণ করেছিলেন। এই বিমান ব্রহ্মা কুবেরকে দান করেন এবং রাবণ তা কুবেরের থেকে অধিকার করেন। সমুদ্রস্থিত চক্রবান পর্বতে সহস্রার চক্রও বিশ্বকর্মার সৃষ্টি। বিষ্ণু পঞ্চজন ও হয়গ্রীব নামে দুই অসুরকে বধ করে শঙ্খ ও চক্র দুটি গ্রহণ করেছিলেন। 


শ্রীক্ষেত্রর প্রসিদ্ধ জগন্নাথ মূর্তিও তিনি নির্মাণ করেছেন। আদিকাণ্ডে উল্লিখিত হয়েছে, বিশ্বকর্মা দুটি ধনুক নির্মাণ করেছিলেন। দেবতারা তার মধ্যে একটি ত্রিপুরাসুর বধের জন্য শিবকে এবং অপরটি বিষ্ণুকে প্রদান করেন। বিষ্ণু তাঁর ধনুকটি প্রদান করেন পরশুরামকে। 


বিশ্বকর্মা পূজার মাহাত্ম্যঃ 

বিশ্বকর্মা বৈদিক দেবতা, ঋগবেদের ১০ম মণ্ডলে ৮১ এবং ৮২ সূক্তদ্বয়ে বিশ্বকর্মার উল্লেখ আছে। ঋগবেদ অনুসারে তিনি সর্বদর্শী এবং সর্বজ্ঞ। তাঁর চক্ষু, মুখমণ্ডল, বাহু ও পদ সবদিকে পরিব্যাপ্ত। 



 বিশ্বকর্মা পূজার ধ্যানমন্ত্রঃ
   
দংশপালঃ মহাবীরঃ সুচিত্রঃ কর্মকারকঃ।   
বিশ্বকৃৎ বিশ্বধৃকতঞ্চ বাসনামানো দণ্ডধৃক।।   
ওঁ বিশ্বকর্মণে নমঃ।


পি/ব 

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad