অস্ত্র আইনে গ্রেফতার বিজেপি নেতা ধ্রুব সাহা

 দেবশ্রী মজুমদারঃ    তৃণমূলের কার্যালয়ে ভাংচুর এবং উস্কানিমূলক পোষ্টার দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন বিজেপির যুব মোর্চার রাজ্য সহ সভাপতি ধ্রুব সাহা। রবিবার তাকে রামপুরহাট মহকুমা বিশেষ আদালতে তোলা হলে বিচারক আট দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। যদিও বিজেপি নেতার দাবি তাকে ফাঁসানো হয়েছে।     



আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরের ২৫ জুন ময়ূরেশ্বরের ষাটপলসা গ্রামে তৃণমূলের কার্যালয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় তৃণমূলের পক্ষ থেকে ২৮ জন সহ আরও অনেকে বলে অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ সূর্যদেব ভল্লা এবং অনন্ত মোহন মণ্ডলকে গ্রেফতার করে। ওই ঘটনা ধ্রুব সাহার মস্তিষ্ক প্রসূত বলে পুলিশের দাবি। আদালতকে পুলিশ জানিয়েছে ধৃত সূর্যদেব এবং অনন্ত জেরায় সে কথা স্বীকার করেছে।



এছাড়াও গতবছর ময়ূরেশ্বরের একটি গোয়াল ঘরে গোমাংস রাখা নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। তার পিছনেও ধৃত ধ্রুব সাহার ইন্ধন রয়েছে। ওই বছর ময়ূরেশ্বর থানার বেজা গ্রামে ধর্মীয় উকানিমূলক পোষ্টার পড়ে। তাতে লেখা ছিল মুসলিমদের নিয়ে হিন্দু প্রধান গ্রাম দখল করতে আসছে তৃণমূল। ওই পোষ্টার ধ্রুব সাহার নির্দেশে সাঁটানো হয়েছে। এরকম তিনটি মামলায় শনিবার রাতে নলহাটি থানার বানিওড় গ্রামে ঢোকার মুখে তাকে গ্রেফতার করে ময়ূরেশ্বর থানার পুলিশ।



 রাতে তাকে রাখা হয় রামপুরহাট থানায়। এরপরেই রবিবার সকালে ময়ূরেশ্বর থানার পুলিশ তাকে নিয়ে আদালতে তোলে। পুলিশ ১৪ দিনের হেফাজতে চেয়ে আবেদন করে। ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত মুখ্য দায়রা বিচারক অমিত কুমার চক্রবর্তী তাকে আট দিনের পুলিশ হেফাজতের আদেশ দেন। যদিও আদালতে দাঁড়িয়ে ধ্রুব সাহা বলেন, “তিনটি মিথ্যা মামলায় আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমি ধর্না মঞ্চে ছিলাম।



রাতে সদাইপুর থানা থেকে জেলা সভাপতিকে জামিন করিয়ে বাড়ি ফিরছিলাম। তখনই পুলিশ আমাকে গ্রেফতার করে”। বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল বলেন, “পুলিশ আমাদের নেতা কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসাচ্ছে। ধ্রুব সাহা প্রতিদিন আমাদের ধর্না মঞ্চে ছিলেন। সব আন্দোলনে তাকে সামনের সারিতে থাকেন। তাই পুলিশ তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার করেছে। আমরা আইনি লড়াই চালিয়ে যাব”। জেলা পুলিশ সুপার শ্যামা সিং বলেন, “নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে”।



পি/ব