নিজস্ব প্রতিনিধিঃ কোনো ব্যক্তির মৃত্যুর সাথে সাথেই মৃত্যুর ডেথ সার্টিফিকেট চিকিৎসক লেখেন না। তার কারণ আছে। ডাক্তারি পরিভাষায় রাইগর মর্টিস বলে একটা কথা আছে। বিভিন্ন গ্রামীণ হাসপাতালে প্রায়শই শোনা যায় মরা ব্যক্তি উঠে বসেছেন, নড়াচড়া করেছেন ইত্যাদি।
এই অজ্ঞতা নিয়ে একবার মুরারই গ্রামীণ হাসপাতালে এক চিকিৎসককে মারধোর করে মৃতের পরিবারের সদস্যরা। তারা জোর করে হাসপাতাল থেকে রোগী নিয়ে যায়। তারপর কিছুক্ষণ পরে ফিরে এসে দাবি করে, রোগীর দেহে নড়াচড়া লক্ষ্য করা গেছে। ঠিক মত চিকিৎসা না করে তাদের রোগীকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
মূলত যেটা ঘটে তা হল মানুষের শরীরের মাংসপেশী মৃত্যুর পরও কয়েকঘন্টা অনৈচ্ছিকভাবে স্পাজম বা সংকোচন হতে পারে৷ এর ফলে সাধারন মানুষের মনে একটা ভুল ধারনা আসে যে রোগী হয়ত বেঁচে ছিলেন কিন্তু ডাক্তার তাকে আগেই মৃত ঘোষনা করেছেন।
এবং এটা প্রমাণ করাও তখন কঠিন হয়ে পড়ে যে রোগী আসলে মৃতই ছিলেন৷ এমন নয় যে চার পাঁচ ঘন্টা পর কারো বেঁচে ওঠার সম্ভাবনা আছে। যখন ডাক্তার নিশ্চিত হন যে রাইগর মর্টিস আর হবে না। তখন ডেথ সার্টিফিকেট লেখেন তিনি। কিন্তু অনেক সময় রোগীর পরিবার জোর করে রোগী নিয়ে যেতে চায়।
পি/ব
No comments:
Post a Comment