দেবশ্রী মজুমদারঃ গ্রামের দুর্গা পূজা মানেই নিয়ম নিষ্ঠার সাথে পুজো। ঘড়ি ঘন্টা ধরে পঞ্জিকা মেনে সাবেক রীতিতে পূজা। রামপুরহাটের কাছেই বড়শালে তিন পুতুলি দুর্গা পূজা। লোক মুখে তিন পুতুলি দুর্গা নামেই গ্রামের মুখোপাধ্যায় ও চট্টোপাধ্যায় বাড়ির এই পারিবারিক দুর্গা পূজার প্রসিদ্ধি।
তিন পুতুল বলতে-- দুর্গা, অসুর আর সিংহ। নেই লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক ও গনেশ। যেহেতু সাবেকি পুজো তাই এর রীতি ভাঙা হয় না। এমনকি মূর্তির আদল, তার ডাকের সাজের কোন পরিবর্তন হয় না। কেন তিন পুতুল? এব্যাপারে মুখার্জি পরিবারের শান্তনু মুখোপাধ্যায় জানান, খুব অল্প সময় হাতে নিয়ে এই মূর্তি তৈরি করা হয়েছিল।
গোটা গ্রামে এই একটি তিন পুতুলের দুর্গা। আড়াইশো বছরের প্রাচীন এই পুজো। তবে কেনই বা তড়িঘড়ি করে একসময় এই পূজার প্রবর্তন হয়েছিল, সে বিষয়ে বিশেষ আমরা জানি না। তবে প্রতিটি গ্রামে যেমন এক পুজো থেকে অন্য পুজোর সৃষ্টি হয়। এক্ষেত্রেও হয়তো তাই হয়েছে।
সেটা অবশ্য আমার সঠিক ভাবে জানা নেই। গ্রাম সূত্রে জানা গেছে, এই পারিবারিক পুজোর প্রবর্তন নাকি মুখার্জি পরিবারের কোনো মেয়ের আব্দারে শুরু হয়। পারিবারিক পুজো হলেও, গ্রামের লোকজন পুজো থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেয়। সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমীতে ছাগ বলি হয়।
এই মন্দিরে কালি পুজোও হয়। পারিবারিক পুজো হিসেবে নাচ গান, শ্রুতি নাটক হয়ে থাকে। গ্রামের লোকজন ও অংশগ্রহণ করে থাকে। তবে পারিবারিক পুজো সেরে গোটা গ্রামের সবাই যুবকবৃন্দ পরিচালিত গ্রামের বারোয়ারি পুজোর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেয়।
পি/ব
No comments:
Post a Comment