দেবশ্রী মজুমদার : “এক কাপ চা মুখে তুলতেই মনে পড়ে যায়। দরজার পাশে দাঁড়াতে এসে ভীরু লজ্জায়। চোখে মুখে হাসি অল্প। কবেকার সেই গল্প- মনে পড়ে যায়” । কিশোর কুমারের এই গানের নস্টালজিয়া ভুলে যাওয়ার নয়। প্রেম আর সেখানে চা নেই, সেটা কখনই সম্ভব নয়।
“চা” নিয়ে বাঙালির রোমান্টিকতার শেষ নেই। সুন্দরী গৃহিণী বা প্রেমিকা যেই হোক, চায়ের সাথে রোমান্টিকতা অনাবিল। তবে দরজার পাশে যে রমণীয়া দাঁড়ান না কেন, আর মনে যাই পড়ুক। ভুললে চলবে না, চায়ে দুধ মেশালে চায়ের স্বাদ বাড়তে পারে কিন্তু গূণগতমান কমে যায়। আর তাছাড়া চোঁয়া ঢেকুর উঠতে পারে! সাবধান। রাজনীতির টেবিলেও সেই চা। চা একমাত্র বরফ গলাতে পারে দুই দেশের সম্পর্কে। রাজনৈতিক “চায়ে পে চর্চা”, বাঙালির “চায়ের পেয়ালায় তুফান তো” তো সবার জানা।
চায়ের সাথে খাঁটি দুধ মেশালে ঠিক আছে। তবে কন্ডেন্সড মিল্ক ব্যবহার করে চা বানানো ক্ষতিকর। উচ্চতর ফ্যাটি এসিডের প্রক্রিয়াজাতকরণে কৃত্রিম চর্বি ও প্রাণীজ চর্বি ব্যবহার করে কৌটা দুধ তৈরী করা হয়। চায়ে এ্যাণ্টি অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন থাকে। চা প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়ায়। ২০০২ সালে ইউ এস এ এর হিউম্যান নিউট্রিশন রিসার্চ সেন্টারের গবেষণায় দেখা যায়- চায়ে দুধ মেশালে ইনসুলিনের ৯০ % কার্যক্ষমতা কমে যায়। ২০০৬ সালের জার্মানির গবেষণায় দেখা যায় চায়ের মধ্যে দুধ মেশালে ব্ল্যাকটি হৃদরোগের হাত থেকে প্রতিরোধের ক্ষমতা কমে।
পি/ব
No comments:
Post a Comment