শুভ মুখার্জিঃ ছাত্র যুবর মিছিল। কাজের দাবিতে,শিল্পের দাবিতে মিছিল। দুবেলা দুমুঠো অন্ন নিশ্চিত করার মিছিল। দুদিন ব্যাপী সিঙ্গুর থেকে নবান্ন পর্যন্ত করা এই মিছিলের উদ্দেশ্যে ছিল মহৎ সেব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। লোকসভা ভোটে রাজ্যে শূন্য আসন,৭% নেমে যাওয়া ভোট শতাংশের পরেও এই মিছিলের জনসমাগম ছিল লক্ষণীয়। এই মিছিল হাওড়া পৌঁছতেই পুলিশ এবং মিছিলকারীদের মধ্যে বাঁধে সংঘর্ষ।
পুলিশকে লক্ষ্য করে শুরু হয় ইটবৃষ্টি, কাঁচের বোতল ছোড়া। তার পাল্টা দিতে গিয়ে পুলিশ ও বোধড়ক লাঠি চার্জ করে। আহত হয় বেশ কিছু মিছিলকারীরা। মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে ফাটানো হয় কাঁদানে গ্যাসের শেল ও। সেই শেল নিয়ে রাস্তায় তার ফুটবল স্টিল দেখাতেও কসুর করেননি এক বাম মনোভাবাপন্ন চাকরিপ্রার্থী যুবা। তবে কালকের মিছিল থেকে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য যে ঘটনা উঠে আসে যাকে ঘীরে বামেরা সোশ্যাল মিডিয়াতে জোর প্রচার চালাতে থাকেন তা হল 'আলতা' পুলিশ এবং 'আলতা' সাংবাদিকের কাহিনী।
বামেদের তরফ থেকে বারবার প্রচার হতে থাকে বা একে আপনি অপপ্রচার ও বলতে পারেন যে ওই নির্দিষ্ট পুলিশ অফিসার এবং সাংবাদিক নাকি ইচ্ছে করে গায়ে আলতা মেখে প্রমান করতে চেয়েছেন বামেদের মিছিল থেকেই তাদের মারধর করা হয়েছে ফলে তাদের এই অবস্থা। কিন্তু সারা দিনভর চলতে থাকা ঘটনাপ্রবাহের ভিডিও,স্টিল সমস্ত ছবি সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হলেও। একটা জিনিস নিয়ে সন্দেহের অবকাশ কিন্তু বারবার থেকেই যায় যার উত্তর এখনও পাওয়া যায়নি। এক রাস্তায় 'মারাদোনা' সুলভ ফুটবল স্কিল দেখানো চাকরিপ্রার্থী যুবার ভিডিও তুলে ভাইরাল করা হয়। তার স্টিল ছবিও তুলে ভাইরাল করা হয়।
তাহলে 'আলতা' কান্ডের শুধু স্টিল ছবি ছাড়া কোন ভিডিও নেই কেন? অনেকে বলছেন নেই নয় ভিডিঊ আছে কিন্তু তা সামনে আসলে ঝুলির ভেতর থেকে বেড়ালটা বেরিয়ে পড়তে পারে তাই খুব সুচতুর বি বলা ভাল পরিকল্পিতভাবে একেবারে বিজেপি আইটি সেলের ধাঁচে সেই ভিডিও সামনে আনার মতন মেরুদন্ডের জোর দেখাতে পারেননি 'স্বচ্ছ' ভাবমূর্তির বাম ছাত্র-যুবরা। আর ও একটি প্রশ্ন যারা বিশেষজ্ঞ তারা খুব স্পষ্ট করেই তুলে ধরেছেন তা হল দূর থেকে যদি কোন তরল জিনিস ছোড়া হয় তাহলে তা উপর থেকে নিচে ছড়িয়ে পরে। এবং তা যত নিচের দিকে নামে তার গাড়ত্ব ও তত কমতে থাকে।
এক্ষেত্রে পুলিশ অফিসারটির ছবি দেখেই আপনি বুঝতে পারবেন দূর থেকে আসা আলতা কেমনভাবে তার জামাতে গাঢ় ভাবে এবং পরবর্তীতে তার প্যান্টে ছড়িয়ে পড়ে যত নিচের দিকে নেমেছে তত গাঢ়ত্ব হারিয়েছে। প্রসঙ্গত গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতন যে সাংবাদিককে টার্গেট করে আলতা সাংবাদিক বলে রটানো হচ্ছে সেই বাংলা চ্যানেলের সাংবাদিক আবার আদ্যোপান্ত বাম মনোভাবাপন্ন। এমনকি তার পরিবার ও বাম মনোভাবাপন্ন। হাওড়া জেলায় বাম কর্মী সমর্থক হিসেবেও তার পরিচিতি আছে।
নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধি করতে গিয়ে কি এই পুলিশকর্মী এবং সাংবাদিককে বামেরা 'বলির পাঠা' সাজিয়ে ফেললেন। খুব স্বাভাবিকভাবেই উঠছে সেই প্রশ্ন। এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে সেসব স্বচ্ছ মনোভাবাপন্ন বাম মনস্ক ছাত্র যুবদের বিবেক। যাদের বিবেকের তাড়নাতেই একমাত্র সামনে আসতে পারে সেই ভিডিও ফুটেজ যা সমস্ত প্রশ্নের উত্তরের নিরসন করবে। আমরাও সেই দিনক্ষণের অপেক্ষায় থাকব যখন সেই ভিডিও ফুটেজ সামনে এনে আলতা পুলিশ ও সাংবাদিক সম্বন্ধে আমাদের ধারনাকে ভ্রান্ত বা বলা ভাল ভুল প্রমান করবেন 'মেহনতি' মানুষদের আওয়াজ হয়ে লড়াই করা স্বচ্ছ মনোভাবাপন্ন বাম ছাত্র যুবরা।
পি/ব
No comments:
Post a Comment