নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ফ্রান্সের পূর্বে প্যারিস। তার থেকে ৩৮৩ কিমি দূরে একেবারে পশ্চিমে ফ্রান্সের সাসাইডা কমবোগ। আকাশ পথে ৩ ঘন্টা ৪৮ মিনিট দূরত্বের পথ। গোটা ফ্রান্সে অনেক দুর্গ আছে। এই দুর্গ গুলো ঘিরে আছে অনেক ভৌতিক রোমাঞ্চকর কাহিনী। যারা অতিপ্রাকৃত বিষয় নিয়ে গবেষণা করেন, তারা সেগুলোতে যান অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ে! যদিও ফ্রান্সের অধিকাংশ লোকের এব্যাপারে বিন্দু মাত্র আগ্রহ নেই।
তারা এই সব বিশ্বাস করেন না। তবে, বিশ্বাস করুন, আর নাই করুন। মনে আছে তো সেক্সপিয়ারের হ্যামলেট নাটকে সেই বিখ্যাত উক্তি। যা পরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এক গল্পে তার উদ্ধৃতি দিয়েছিলেন-- স্বর্গ ও মর্ত্যে অনেক জিনিস আছে হোরাসিও, যা তোমার দর্শন ভাবতে পারবে না। যাক! সে কথা! এই গল্প সম্ভার প্রেস কার্ড পেঁয়াজের খোসা ছাড়ানোর মতো এক এক করে খুলবে, আর আপনাদের সামনে তুলে ধরবে! ফ্রান্সের সাসাইডা কমবোগ মধ্যযুগীয় দুর্গ। ট্র্যাঙ্কুইল হ্রদের উপর এই দুর্গ।
১০২৫ আর্ক বিশপ জিনগিনি এই দুর্গ তৈরি করেন। এই দুর্গটি তিনি তার অবৈধ ভাইকে প্রদান করেন। এই গা ছমছম পরিবেশে আপনি উপলব্ধি করতে পারবেন অশরীরী আত্মা, আপনার পাশ দিয়ে সিঁড়ি বেয়ে উঠছে আর নামছে! রাতের আলো আঁধারি পরিবেশে তা আরও রোমহর্ষক হয়ে ওঠে! এই দুর্গের কাহিনী লোক সমক্ষে নিয়ে আসেন ফরাসি লেখক সাটুব্রিয়ন। ১৮৭৬ সালে কাউন্ট জিওফ্রে ডি সাটুব্রিয়ন এই দুর্গের সংস্কার করেন। এটা প্রচলিত বিশ্বাস যে মালো থার্ড ডি কোয়েতকন যিনি বাস করতেন ১৬৭০ থেকে ১৭২১ সাল পর্যন্ত।
তার পায়ে গ্যাংগ্রিন হওয়ার জন্য পা কেটে ফেলতে হয়। তার জন্য ক্রাচের মতো কাঠের লাঠি নিয়ে তাকে হাঁটতে হতো। জানা গেছে, অশুভ শক্তির হাত থেকে বাঁচতে তিনি দুর্গের দেওয়ালে একটা কালো বিড়ালকে সমাধিস্থ করেন। তার মৃত্যুর পর তার অশীরিরি দেহের সাথে ছায়া সঙ্গী ছিল সেই বেড়াল। প্রচলিত বিশ্বাস ছিল, তিনি নাকি খুব বন্ধুত্বপূর্ণ ভূত ছিলেন। লোকের দরজায় নক করে খোঁজ খবর নিতেন। ভাবুন, ভূতের সৌজন্যতা। যখন বিভিন্ন হাত হতে লেখক সাটুব্রিয়নের বংশধরের হাতে এই দুর্গো আসে, দুর্গো সংস্কারের সময় দুর্গের দেওয়াল থেকে বেড়ালের মমির মতো দেহ পাওয়া যায়।
মধ্যযুগে প্রচলিত বিশ্বাস থেকে রেওয়াজ ছিল, অশুভ শক্তির হাত থেকে রক্ষা পেতে দেওয়ালে কালো বিড়ালকে সমাধিস্থ করা। বর্তমানে যিনি ঐ দুর্গের মালিক, তিনি শুনেছেন সিঁড়ি দিয়ে কাঠের ক্রাচ নিয়ে সিঁড়ি দিয়ে আওয়াজ করে ছায়ামূর্তিকে ওঠানামা করতে। আর তার সাথে সেই কালো কুকুর। ভূত অবশ্যই জোর গলায় বলেছে, ভয় নেই! কেউ তোমার ক্ষতি করবে না। সেতো ভালো ভূত!
পি/ব
No comments:
Post a Comment