সুদেষ্ণা গোস্বামীঃ বিন্দু বিন্দু জল জমে যেমন সিন্ধু তৈরি হয় তেমনি একটু একটু করে বদভ্যাস জমে জমে বিশাল আকার নেয় যা সমাজ দেশের ক্ষতি করে। সেজন্য মানুষ তৈরীর কারখানা বিদ্যালয় আর তার সাথে তার কারিগর শিক্ষকদের দায়িত্ব উপেক্ষা করার নয়।শিশু মস্তিষ্ক শিক্ষা গ্রহণের প্রকৃত আঁধার।
ছোটবেলা থেকে তাকে যে শিক্ষা দেওয়া যাবে আজন্ম সে তা বহন করে প্রবাহিত কোরে পারিপার্শ্বিককে সুন্দর করে তুলতে পারবে। তাই পুঁথিগত বিদ্যার পাশাপাশি পরিবেশকে সুন্দর রাখার জন্য তাদের অভ্যাস করাতে হবে। যেখানে সেখানে একটুকরো কাগজ যাতে না ফেলে এবং একটা চকলেট খেলেও যাতে সে টুকরোটি ডাস্টবিন না থাকলেও পকেটেই রেখে দেয়।
এছাড়া রাস্তায় কিভাবে চলবে অর্থাৎ কোন কলার খোসা দেখলে তুলে সে ডাস্টবিনে ফেলে দেবে, পায়ে কাঁটা ফুটলে সেই কাটা রাস্তায় না ফেলে যথাস্থানে সরিয়ে দেবে,এবং রাস্তার কল খোলা থাকলে গিয়ে বন্ধ করবে। এই অনুপ্রেরণা দিতে পারে একমাত্র শিক্ষকই।
আমারতো মনে হয় পড়াশোনার পাশাপাশি দু'তিনটে ক্লাস বাচ্চাদের গ্রুমিং এর জন্য রাখা উচিত। প্রকৃতির তে থাকা পশু,পাখির যতটা সম্ভব যত্ন নেবে। এমন ধরনের চিন্তাভাবনা যদি ছোট থেকে ধীরে ধীরে তাদের মস্তিষ্কে প্রবেশ করানো যায় তাহলে ভবিষ্যতের সমাজ হয়ে উঠবে নির্মল, সুন্দর এবং দেশ গড়ার জন্য সুন্দর নেতার অভাব বোধহবে না আমাদের।
পি/ব
No comments:
Post a Comment