দেবশ্রী মজুমদারঃ স্বরূপ গড়াইয়ের খুনের ঘটনায় পুলিশ নানুর পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত্য কর্মাধ্যক্ষ অসিত ঘোষকে গ্রেফতার করে। ১১ জনের নামের তালিকায় তার স্থান ছিল পঞ্চমে। নানুরের স্বরূপ গড়াই খুনে এর আগে বাবু সোনা বাগদী নামে এক তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এই ঘটনায় এপর্যন্ত মোট পাঁচজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ১১ জনের অভিযোগের তালিকায় সোনা বাগদীর নাম আট নম্বরে। যদিও এখনও পর্যন্ত এক নম্বর তালিকায় থাকা দলের নেতা তথা জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ কেরিম খানের কোন খবর নেই পুলিশের কাছে।
উল্লেখ্য, ৯ সেপ্টেম্বর রাতে রাজনৈতিক পতাকা টাঙানোকে ঘিরে বিজেপি তৃণমূল সংঘর্ষ। ঘটনার জেরে দুই বিজেপি কর্মী গুলি বিদ্ধ। বাবা ও ছেলে কে গুলি করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে । রামকৃষ্ণপুরে রাতভর চলে ব্যাপক বোমাবাজি ।
ঘটনা স্থল থেকে পুলিস গিয়ে আহতদের গ্রাম থেকে উদ্ধার করে প্রথমে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি কারণে হাসপাতাল চিকিৎসকেরা বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ রেফার করে দুই আহতকে। ঘটনাটি ঘটেছে নানুর থানার রামকৃষ্ণপুর গ্রামে। ওই দিন গ্রামের দুর্গা তালা এলাকায়, রাত্রি সাড়ে নটা নাগাদ ব্যপক বোমাবাজি শুরু হয়। গ্রামে তখন মহোৎসব চলছিল।
দুষ্কৃতীরা সব কিছু লণ্ডভণ্ড করে দেয়। দুষ্কৃতীরা প্রথমে বিয়াল্লিশ বছর বয়স্ক ভুবনেশ্বর গড়াই ও ছেলে স্বরূপ গড়াই কে প্রথমে বাঁশ লাঠি মারধর করতে শুরু করে। প্রাণ ভয়ে তারা ছুটে পালাতে গেলে ভুবনেশ্বর গড়াইকে ডান পায়ে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। বাবাকে বাঁচাতে গেলে ছেলের বাঁদিকে বুকে নীচে গুলি করে দুষ্কৃতীরা।
পি/ব
No comments:
Post a Comment