দেবশ্রী মজুমদারঃ ছাত্রছাত্রীদের নিম্নমানের পোশাক দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্বনির্ভর গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ পাওয়ার পরেই বিডিওর নির্দেশে দুটি স্কুল থেকে পোশাক ফেরত নেওয়া হয়েছে। পুজোর পর ফের ওই স্কুলে পোশাক দেওয়া হবে বলে জানান স্বনির্ভর গোষ্ঠীর দলনেত্রী। রাজ্য সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের জন্য প্রতি বছর দুই জোড়া করে পোশাক দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। সেই মতো প্রথম দিকে ছাত্রছাত্রী পিছু ৪০০ টাকা বরাদ্দ করা হয়। ঠিক হয় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা পোশাক তৈরি করে সরবরাহ করবে।
সেই মতো বিভিন্ন এলাকায় গোষ্ঠীকে পোশাক সরবরাহের দায়িত্ব দেওয়া হয়। বর্তমানে সরকার মূল্যবৃদ্ধির কারণে বরাদ্দ বাড়িয়ে ৬০০ টাকা করে। কিন্তু তাতেও পোশাকের মানের কোন উন্নতি হয়নি বলে অভিভাবকদের অভিযোগ। প্রতিবাদে বীরভূমের মুরারই ১ নম্বর ব্লকের রাজগ্রাম অঞ্চলের মোহনপুর, কাপড়পোড়া ও ফুলবারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কয়েকজন অভিভাবক জেলা শাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগকারী মানব সাহা, জয়প্রকাশ সাহা, সন্তোষ সাহা, বিক্রম নরসুন্দরদের অভিযোগ, প্রথম দিকে যে মানের পোশাক দেওয়া হত, অর্থ বাড়ানোর পর তার মান আরও খারাপ হয়েছে।
মানব সাহা, সন্তোষ সাহা বলেন, “আগের থেকে পোশাকের মান অনেক খারাপ হয়েছে। তাই আমরা লিখিত অভিযোগ করেছি”। জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান প্রলয় নায়েক বলেন, “বেশ কয়েকটি ব্লক থেকে পোশাক নিয়ে অভিযোগ আসছে। এনিয়ে আমি ডি আই, জেলা শাসকের সঙ্গে আলোচনা করেছি। কারণ পোশাকের গুনগত মান ভালো নয়। অথচ সরকার যে অর্থ বরাদ্দ করেছে তাতে উন্নত মানের পোশাক হওয়া উচিত। এনিয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন”।
মুরারই ১ নম্বর ব্লকের গোপালপুর গ্রামের বহুমুখী উদীয়মান সংঘের দলনেত্রী বলেন, “তুলি বিবি বলেন, “আমরা যেখান থেকে পোশাক নিই তারাই কিছু খারাপ পোশাক দিয়েছে। দুটি স্কুলের পোশাক আমরা তুলে নিয়েছি। পুজোর পর পুনরায় ওই স্কুলে পোশাক দেওয়া হবে”। বিডিও নিশীথ ভাস্কর পাল বলেন, “দুটি স্কুল আমার কাছে অভিযোগ করেছে। আমি সংঘকে শোকজ করেছি। তাদের ফের নতুন ভালো পোশাক দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে”।
পি/ব
No comments:
Post a Comment