দেবশ্রী মজুমদারঃ পণের শিকার এক গৃহবধূ। ঘটনাটি ঘটেছে, নানুর থানার অন্তর্গত সাওতা গ্রামে। জানা গেছে, বছর পাঁচেক আগে সারোওয়ার সেখের মেয়ে সেরিনা বিবির বিয়ে হয় নতুনহাট পুরন্দরপুর গ্রামের বাসিন্দা আরিফুল সেখের সাথে। তাঁদের যথাক্রমে তিন বছর ও ন’মাসের দুটি কন্যা সন্তান আছে।
সোমবার মৃতার শশ্বর বাড়ির লোকজন মেয়ে পক্ষের বাড়িতে ফোন করে জানায়, তাদের মেয়ে মারা গেছে । সেরিনার ভাই মীর বাপন ও বাবা সারোয়ার সেখ শশ্বর বাড়ি তে গিয়ে দেখে উঠোনের মাঝ খানে সেরিনার মৃত দেহ পড়ে আছে। কিন্তু মৃতার দেহে কিছু দাগ দেখে তাঁদের অনুমান হয় যে সেরিনাকে খুন করা হয়েছে । ঘটনাস্থলেই দুই পক্ষের মধ্যে বচসা য় হাতাহাতি শুরু হয়। অভিযোগ, মৃতার বাড়ির লোকজনদের ঢুকতে এবং এমনকি ময়নাতদন্তের জন্য স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যেতে বাধা দেওয়া হয়।
শেষপর্যন্ত ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে মৃত দেহ বোলপুরমহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ময়নাতদন্ত জন্য । মৃতার মা নুরজাহান বিবি ও পিতা সারোওয়ার সেখ নানুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে স্বামী আরিফুল সেখ, মৃতার শ্বশুর মিঠু সেখ, দেওয়র শরিফুল সেখ এবং শাশুড়ি মর্জিনা বিবির বিরুদ্ধে। অভিযুক্তরা সকলেই পলাতক। মৃতার স্বামী আরিফুল সেখ চেন্নাইয়ে দিনমজুরির কাজ করত।
সেখানে চার পাঁচ মাস থাকার পর আরিফুল বাড়ি ফিরতো । ঘটনার সময় সে বাড়িতেই ছিল বলে মৃতার পরিবারের তরফে দাবি করা হয়। মৃতার বাবা সারোওয়ার সেখ জানান, তাদের মেয়ে পণের জন্য অত্যাচারের ভয়ে শ্বশুর বাড়ি যেতে চাইতো না। তারাই বুঝিয়ে সুঝিয়ে পাঠাতো। তারা অপরাধীর শাস্তি চান।
পি/ব
No comments:
Post a Comment