দেবশ্রী মজুমদারঃ এবার কার পালা? প্রশ্ন বিজেপির অন্দরে। বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সহ সভাপতি ধ্রুব সাহার পর জেলা সাধারণ সম্পাদক অতনু চট্টোপাধ্যায়। বিজেপির দাবি, তাদের বিরুদ্ধে বোমা মজুদ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের মত গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে। বিজেপি জেলা সভাপতি ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, জেলার যা পরিস্থিতি বিজেপির আন্দোলন থামাতে, আমাকেও গ্রেফতার করা হতে পারে বিভিন্ন ধারা দিয়ে। অভিযোগ, অতনু চট্টোপাধ্যায় একজন শিক্ষিত ভদ্র মানুষ।
তাকেও মল্লারপুর মেঘদূত বোমা বিস্ফোরণ মামালায় জুড়ে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদককে রামপুরহাট আদালতে তোলা হয়। পুলিশ ধৃতের দশ দিনের পুলিশি হেফাজত চাইলেও, আদালত সাতদিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করে। আদালতে যাওয়ার পথে অতনুবাবু বলেন, আমি মিথ্যা মামলার শিকার। ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা মল্লারপুর থানা ঘেরাও করে। এদিন রামপুরহাট মহকুমা পুলিশ আধিকারিককে একটি স্মারকলিপিও জমা দেয় তারা।
জেলার অন্যতম সাধারণ সম্পাদক শুভাশীষ চৌধূরী এদিন রামপুরহাট মহকুমা শাসককে একটা স্মারকলিপি জমা দেন। শুভাশীষ চৌধূরী বলেন, এভাবে আমাদের আন্দোলন থামানো যাবে না। পুলিশ যত শাসক দলের হয়ে মিথ্যা কেস দিয়ে বিজেপি নেতাকর্মীদের উপর জুলুম করবে, তত মানুষ আমাদের পাশে এসে দাঁড়াবে। তৃণমূল পুলিশকে দিয়ে এসব করে, নিজের কবর নিজেই খুঁড়ছে। জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল বলেন, আমরা শীঘ্র জেলা পুলিশ সুপার ও জেলাশাসককে এব্যাপারে স্মারকলিপি জমা দেব।
রাজ্য নেতৃত্বের সাথে আমারা শীঘ্র আলোচনায় বসব। তৃণমূল চাইছে পুলিশ ব্যবহার করে আমাদের আন্দোলনের মাজা ভেঙে দিতে। যারাই স্বরূপ গড়াইয়ের মৃত্যুর প্রতিবাদে আন্দোলন, অবরোধ মিছিল করেছে, তাদের গ্রেফতার করে ক্ষান্ত হয় নি পুলিশ। তাদের পুরানো কোন ঘটনার সাথে ট্যাগ করে দিচ্ছে। যেমন আমি শুনছি অতনু চট্টোপাধ্যায়ের মত ভদ্র ছেলেকে মল্লারপুর ক্লাবে বোমা বিস্ফোরণের সাথে ট্যাগ করে দেওয়া হয়েছে। অতনু, ধ্রুব এরা কী মাওবাদী না জঙ্গী? মাস দুয়েকের বেশী আগের এই ঘটনা। গ্রেফতার করলে আগে করতে পারত। কিন্তু আন্দোলন করেছে, তাই এই ঘটনার সাথে জুড়ে দেওয়া হল। পুলিশ এভাবেই শাসক দলকে খুশি করতে চাইছে।
পি/ব
No comments:
Post a Comment