প্রেস কার্ড নিউজ ডেস্ক ; স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জানিয়েছেন, যেসব এনজিও বিদেশ থেকে তহবিল পেয়ে থাকে তাদের কর্মীদের মুচলেকা দিয়ে জানাতে হবে যে তারা ধর্মান্তরিত করার ঘটনায় যুক্ত নন অথবা তাদের বিরুদ্ধে ওই ধরনের কোনও মামলা হয়নি। বিদেশি সাহায্যপ্রাপ্ত এনজিওগুলোর কার্যকলাপে সরকার নানা বিধিনিষেধ আরোপ করছে গত বেশ কয়েক বছর ধরেই।
শাসক দল বিজেপির নেতারা যুক্তি দিচ্ছেন, কার্যক্রমের আড়ালে বহু এনজিও জোর করে বা লোভ দেখিয়ে লোকজনকে ধর্মান্তরিত করছে বলেই এই মুচলেকা জরুরি - কিন্তু বহু এনজিও-ই এই সিদ্ধান্তে প্রবলভাবে হতাশ। বস্তুত বিদেশি সাহায্যপ্রাপ্ত এনজিওগুলোর কার্যকলাপে ও বাইরে থেকে অনুদান পাওয়ার ক্ষেত্রে নানা কড়াকড়ি আরোপ শুরু হয়েছে পাঁচ বছর আগে নরেন্দ্র মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার সময় থেকেই।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশে বলা হচ্ছে, এই এনজিওগুলোর কর্মীরা যে কখনও ধর্মান্তরে জড়িত ছিলেন না বা ধর্মান্তরের মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন না সেটাও তাদের হলফনামা দিয়ে বলতে হবে - নইলে সেই এনজিওকে কাজ করতে দেওয়া হবে না। ভারতে মিশনারি বা জেসুইট সংগঠনগুলো বিদেশি সাহায্যকে কাজে লাগিয়ে গরিব আদিবাসী বা দলিত সমাজকে জোর করে খ্রিস্টান বানাতে চাইছে, বিজেপি ও সঙ্ঘ পরিবারের এই অভিযোগ অনেক দিনের। কিন্তু এখন সেটা বন্ধ করার নামে যেভাবে ঢালাওভাবে সব এনজিওর কার্যক্রমে রাশ টানার চেষ্টা হচ্ছে, তাতে সামাজিক উন্নয়ন প্রক্রিয়ার এই গুরুত্বপূর্ণ অংশীদাররা রীতিমতো শঙ্কিত ও ক্ষুব্ধ।
পশ্চিমবঙ্গের ‘পরিচিতি’ নামে এনজিওর কর্ণধার অঞ্চিতা ঘটক যেমন বলছেন, “এতো খুব সাঙ্ঘাতিক জিনিস! এখনই আমাদের এত রকম আইনি নিয়মকানুন মেনে চলতে হয় যে বলার নয়, তার মধ্যে আবার একটা নতুন ঝামেলা আনা হল।” “আর কত ধরনের ডিক্ল্যারেশন আমাদের কাছ থেকে আদায় করবে? আমরা তো এ দেশেরই নাগরিক, স্বাধীনভাবে এখানে আমাদের তো কাজ করার অধিকার আছে, তাই না?” শুধু ধর্মান্তর নিয়ে মুচলেকাই নয়, এনজিও কর্মীদের এখন থেকে এটাও বিবৃতি দিয়ে জানাতে হবে যে তারা দেশদ্রোহমূলক কোনো বার্তাও প্রচার করছেন না এবং বিদেশ থেকে পাওয়া তহবিল কোনো ভাবে তছরুপ করেননি ।
পি/ব
No comments:
Post a Comment