প্রেস কার্ড নিউজ ডেস্ক : নিজেদের সৌন্দর্য রক্ষা জাপানী নারীদের কাছে এক ধরনের উপাসনার মতো – সৌন্দর্যের প্রশ্নে তারা সময় বা অর্থের তোয়াক্কা করে না। ২০ বছর বয়স থেকে শুরু করে, মেয়েরা প্রতিদিন নির্দিষ্ট কিছু পদ্ধতি মেনে চলে (পদ্ধতিগুলো সম্পর্কে কিছুক্ষণের মধ্যেই জানবেন), যা শরীর এবং মুখমন্ডলের লাবন্য বৃদ্ধি করে। তাই অফিস ও বাড়ির কাজ সম্পন্ন করার পর, নিয়মিত রুপ চর্চায় কিছু সময় ব্যয় করা কতখানি জরুরি তা জাপানী নারীদের কাছে সবার শেখা উচিৎ। তারা সব ধরণের কাজ এবং চিন্তা থেকে ছুটি নেয় পার্থিব সব কিছু থেকে নিজেকে সরিয়ে নেয়। তারপর তারা সারা শরীরে গরম ভাপ নেয়। তারপর খুব যত্নসহকারে শরীরের প্রতিটি জায়গায় মাজুনি দিয়ে ঘষে এবং স্ক্র্যাবের মাধ্যমে ময়লা দূর করে।
এরপর দীর্ঘ সময় কুসুম গরম জলে শুয়ে থাকেন তারা (এটা খুব জরুরি), এ সময় আরামদায়ক গান চলতে থাকে। স্নানের শেষে তারা শরীরে তেল মাখেন। এই সাধারণ প্রক্রিয়া নিয়মিত করার ফলে তাদের লসিকা প্রবাহ উন্নত হয়, শরীর ব্যথা দূর হয় এবং মানসিক চাপ কম যায়। স্কিনে ভাঁজ পড়া রোধে জাপানী নারীরা নিয়মিত এন্টি-এইজিং ম্যাসেজ নিয়ে থাকে। ফলে অনেক বয়স হওয়া সত্ত্বেও নিজের রূপ-লাবন্য ধরে রাখতে সক্ষম হয় তারা। মুখ ও গলার ত্বক ঝুলে যাওয়া, মুখ ও গলায় কালো স্পট, কালো দাগ, ব্রণের দাগ ও সূর্য-রশ্মির দাগ, মুখের ত্বক শুষ্ক হয়ে ত্বক ফেটে যাওয়া, ত্বকের মসৃণতা নষ্ট হয়ে যাওয়া, মুখের ত্বকে ছোট ছোট বা বড় বড় গর্ত দূর করতে এই এন্টি-এইজিং ম্যাসেজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
ত্বকের সৌন্দর্যে প্রতি সন্ধ্যায় আপনার মুখ পরিষ্কার এবং ময়শ্চারাইজ করা খুবই জরুরি। ফলে আপনার চেহারায় কালো দাগ হবে না ও বলীরেখা পড়বে না। যদি আপনি নিয়মিত মেকআপ ব্যবহার করেন তবে, সপ্তাহের নির্দিষ্ট একটি দিন ত্বককে বিশ্রাম দিতে মেকআপ নেওয়া থেকে বিরত থাকুন। ওইদিন ত্বক পরিষ্কার করুন ও ময়শ্চারাইজিং ক্রিম ব্যবহার করুন। খাবারের ক্ষেত্রে জাপানের নারীরা যেসব নিয়ম মেনে চলে- ক. প্রতিদিন প্রায় দেড় লিটার জল পান করা। খ. স্ন্যাকস কম খাওয়া বা পরিমাণ ও সময় মেনে খাওয়া। গ. ভিটামিন খাওয়া।(অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী) ঘ. বেশি বেশি সবজি ও সামুদ্রিক মাছ খাওয়া। ঙ. সবুজ চা পান করা। যেকোনো আবহাওয়ায় তারা সূর্য ও ধুলাবালির হাত থেকে তাদের স্কিনের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ছাতা ও স্কিনের সুরক্ষায় অন্যান্য দ্রব্যাদি ব্যবহার করে।
কে
No comments:
Post a Comment