নিজস্ব প্রতিনিধিঃ অপূর্ব ভাস্কর্য শৈলীতে মোরা কোনারকের সূর্য মন্দির। ১৫৫৫ খ্রিস্টাব্দে রাজা নরসিংহ দেব এই মন্দিরটি নির্মাণ করেছিলেন। বারোশো শ্রমিক ১২ বছর ধরে এই মন্দিরটি নির্মাণ করেন।রাজার হুকুম ছিল যে বারোশো শ্রমিকের বেশি যেন এবং ১২ দিনের বেশি যেন এই মন্দির নির্মাণ করতে সময়ও শ্রমীক না লাগে যদি এর বেশি হয় তবে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে ১২ জন শ্রমিকদের।
কিন্তু ১২ জন শ্রমিকের মধ্যে একজন শ্রমিকের পত্নী ছিলেন গর্ভবতী তার পুত্র ধর্মদাস ১২ বছর পর যখন পিতার খোঁজে আসেন তখন পিতা তার পুত্রকে দেখে খুব খুশি হন । পুত্র যখন জানতে পারে যে মন্দিরটি করতে হাতে বেশি সময় নেই তখন ধর্মদাস মন্দির নির্মাণের কাজে লেগে যান।
কিন্তু এতে অমান্য করা হয় রাজাকার হুকুম তার ফলে রাজা যখন জানতে পারেন তিনি ১২ জন শ্রমিককে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার আদেশ দেন এটি শোনামাত্রই ধর্মদাস কোনারকের মন্দিরের চূড়া থেকে আত্মহত্যা করে তার অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে নানারকম অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটতে থাকে।। তার মৃত্যুর জন্য মন্দির হয়ে যায় অশুচি। সেই কারণে এই মন্দিরের ভিতরে কোন রকম বিগ্রহ চোখে পড়ে না ।
পুজোও হয় না ।আপনি জুতো পড়েও প্রবেশ করতে পারেন মন্দিরের অভ্যন্তরে। রাতে নাকি আজও চিৎকার শোনা যায় কোন এক অশরীরীর। মন্দিরের ভিতরে অনেকেই নাকি নানান রকম অস্বস্তি অনুভব করেন। শোনা যায় এই মন্দিরে নাকি একটি বিশেষ চুম্বক ছিল যা সমুদ্র থেকে জাহাজকেও আকর্ষণ করতে পারত। মৃত্যু পরবর্তী কালে ব্রিটিশরা সেই চুম্বক খুলে নিয়ে চলে যায়।
পি/ব
No comments:
Post a Comment