কর্ম সমিতির বৈঠকে বিশ্ব ভারতীতে বেনিয়মের জন্য ফের তদন্ত কমিটি গঠন ও শোকজের সিদ্ধান্ত - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Monday, 30 September 2019

কর্ম সমিতির বৈঠকে বিশ্ব ভারতীতে বেনিয়মের জন্য ফের তদন্ত কমিটি গঠন ও শোকজের সিদ্ধান্ত




নিজস্ব প্রতিনিধিঃ    কোলকাতায় বিশ্বভারতীর গ্রন্থন বিভাগে আয়োজিত কর্ম সমিতির বৈঠকে বিশ্ব ভারতী কর্তৃপক্ষ ২০১৮ সালে অস্থায়ী উপাচার্য পদে মেয়াদ বৃদ্ধি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিল।   তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়তেই  বিশ্বভারতীর সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক কমিটি - কর্ম সমিতির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।  অভিযোগ,  ২০১৮ সালে অস্থায়ী উপাচার্য পদে মেয়াদ বৃদ্ধি নিয়ে কর্ম সমিতির  রেজুলেশন ফ্রড করার অভিযোগে  ভিত্তিতে ডিপার্টমেন্টাল ইনকোয়ারির নির্দেশ দেয় বিশ্বভারতী কর্ম সমিতি। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি এই নির্দেশ দেওয়া হয়।


 নিযুক্ত হয় এক সদস্যের তদন্ত কমিটি। রবিবার কোলকাতায় বিশ্বভারতীর গ্রন্থন বিভাগে আয়োজিত কর্ম সমিতির বৈঠকে সেই রিপোর্ট জমা পরে। সূত্রের খবর তাতে রেজুলেশন ফ্রড করা হয়েছে এমনটি  প্রমানিত হয়। এবং এদিনের সভায় সর্ব সম্মতি ক্রমে তা গৃহীত হয়। সিদ্ধান্ত হয় এই ঘটনার জন্য সেই সময় দায়িত্বে থাকা বিশ্বভারতীর কর্ম কর্তা দের শোকজ করা হবে। প্রয়োজনে এফ আই আর দায়ের করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।   


একই সঙ্গে প্রাক্তন স্থায়ী উপাচার্য সুশান্ত দত্ত  গুপ্তের আমলে  ২৫ টি বেআইনি নিয়োগ নিয়েও যে অভিযোগ ওঠে তার তদন্তের জন্য এক সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।  রবিবার কোলকাতায় বিশ্বভারতীর গ্রন্থন বিভাগের দপ্তরে নতুন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী পৌরোহিত্যে কর্ম সমিতির এই বৈঠক আয়োজিত হয়।   


এদিন রুদ্ধদ্বার বৈঠকে অস্থায়ী উপাচার্য পদে মেয়াদ বৃদ্ধি নিয়ে গত বছর ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তে কর্ম সমিতির বৈঠকের তারিখ পরিবর্তন ও  রেজুলেশন ফ্রড করে কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ মন্ত্রক কে মিস লিড করে মেয়াদ বৃদ্ধি করার অভিযোগ ওঠে।  এই অভিযোগের তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন কর্ম সমিতির আচার্য মনোনীত সদস্য প্রফেসর দুলাল ঘোষ। তিনি এদিন রিপোর্ট জমা দেন। কর্ম সমিতির এক সদস্য জানান, " এদিন রেজুলেশন ফ্রড করা নিয়ে তদন্ত রিপোর্ট জমা পরে। রিপোর্টে তা প্রমানিত হওয়ায় বৈঠকে উপস্থিত সব সদস্য সর্বসম্মত ভাবে তা গ্রহন করেছে।"   



সূত্রের খবর, ঐ সময় দায়িত্বে থাকা তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য, রেজিস্টার, ফিনানস অফিসার সহ একাধিক জন কে এই নিয়ে শোকজ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।  এই নিয়ে তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সবুজ কলি সেন কে ফোন করে কোন উত্তর পাওয়া যায় নি। তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার সৌগত চট্টোপাধ্যায়কে ফোনে পাওয়া যায় নি।         শুধু এই বিষয নয, কর্ম সমিতির এক সদস্যের কথায়, প্রাক্তন স্থায়ী উপাচার্যের আমলে যে ২৫ টি বেআইনি নিয়োগ নিয়ে গঠিত  ফ্যাক্ট ফান্ডিং কমিটির  সুপারিশ মোতাবেক  নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগে বরখাস্ত হতে হয় সুশান্ত দত্তগুপ্ত কে।



 ঐ ২৫ টি পদে নিয়োগ নিয়ে ও তদন্তের সিদ্ধান্ত হয এদিনের কর্ম সমিতির বৈঠকে। সূত্রের খবর, সিদ্ধান্ত হযেছে এক সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।তদন্ত ভার দেওয়া হচছে প্রফেসর সুজিত ঘোষ কে । দুই মাসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হযেছে।এছাড়াও বিশ্বভারতী গ্রন্থন বিভাগে প্রায় আড়াই কোটি টাকার সহজ পাঠ বই পড়ে রয়েছে। যা কার নির্দেশে কেন ছাপা হয়েছিল তা নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। এই ঘটনার তদন্ত জন্য তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হযেছে।এই নিযে বিশ্বভারতী জন সংযোগ আধিকারিক অনির্বাণ সরকারকে ফোনে পাওয়া যায় নি।




পি/ব 

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad